কুরআন, হাদিস ও বাইবেলের আলোকে জেরুজালেম আসলে কাদের? মুসলিমদের নাকি ইহুদি-খৃস্টানদের?
জেরুজালেমের প্রকৃত হকদার হলো বনী ইসমাঈল। গোটা জেরুজালেম হলো মুসলিমদের। কেননা বাইবেলে বলা হয়েছেঃ
ইবরাহিম ইসমাঈলের ব্যাপারে দোয়া করলেন। তখন আল্লাহ বললেন-তবে ইসমাইল সম্বন্ধে তুমি যা বললে তা আমি শুনলাম। শোনো, আমি তাকেও দয়া করব এবং অনেক সন্তান দিয়ে তার বংশের লোকদের সংখ্যা অনেক বাড়িয়ে দেব। সে-ও বারোজন গোষ্ঠী-নেতার আদিপিতা হবে এবং তার মধ্য থেকে আমি একটা মহান জাতি গড়ে তুলব।[1]বাইবেলঃ কিতাবুল মোকাদ্দাস ভার্সন, আদিপুস্তক 17:19-20 MBCL
ইসমাঈলের জন্মে আগে জেরুজালেমকে ভবিষতে ইবরাহিমের বংশকে দেওয়ার ওয়াদা:-সেদিন মাবুদ ইব্রামের সঙ্গে নিয়ম স্থির করে বললেন, আমি মিসরের নদী থেকে মহানদী ফোরাত পর্যন্ত এই দেশ তোমার বংশকে দিলাম; কেনীয়, কনিষীয়, কদমোনীয়, হিট্টিয়, পরিষীয়, রফায়ীয়, আমোরীয়, কেনানীয়, গির্গাশীয় ও যিবূষীয় লোকদের দেশ দিলাম।[2]বাইবেলঃ কিতাবুল মোকাদ্দাস ভার্সন, আদিপুস্তক 15:18 BACIB
বাস্তবে মিশরের নীল নদ থেকে শুরু করে ফোরাত নদী গোটামধ্যপ্রাচ্যঃ ফিলিস্তান(জেরুজালেম),ইরাক-ইরান,সৌদি তুরস্ক,লেবানন,জর্ডান,সিরিয়া ইত্যাদির সীমানা ইবরাহিমের ১ম পুত্র ইসমাইলের বংশের ধরে রাখতে পেরেছে দীর্ঘকাল ধরে। ইহুদি-খৃস্টানরা ধরে রাখতে পারে নাই। কেননা ঐ একই আদিপুস্তক ১৫ অধ্যায়ে বলা ইবারাহিমের ২য় পুত্রের ইসহাকের বংশরা তথা বর্তমান ইহুদি-খৃস্টানদের সেটা করতে ব্যর্থ হবে, ভবিষদ্বানীতেঃ
সদাপ্রভু তিনি ইব্রামকে বললেন, নিশ্চয় জেনো, তোমার সন্তানেরা পরদেশে প্রবাসী থাকবে এবং বিদেশী লোকদের গোলামীর কাজ করবে; লোকে চার শত বছর পর্যন্ত তাদেরকে দুঃখ দেবে; আবার তারা যে জাতির গোলাম হবে, আমিই সেই জাতির উপর গজব নাজেল করবো; তারপর তারা যথেষ্ট সম্পদ নিয়ে বের হবে। আর তুমি শান্তিতে তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে চলে যাবে ও শুভ বৃদ্ধাবস্থায় কবর পাবে। আর তোমার বংশের চতুর্থ পুরুষ এই দেশে ফিরে আসবে; কেননা আমোরীয়দের অপরাধ এখনও সম্পূর্ণ হয় নি।[3]বাইবেল – আদিপুস্তক (পয়দায়েশ)15:12-16 BACIB
ইহুদিরা জাতির প্রবাসী হওয়া ও অন্যের গোলামির ঘটনা দেখি চলুন। বাইবেলে বলা হচ্ছে,
ইহুদি জাতিকে আল্লাহ পবিত্র ভূমি দেওয়া বিষয়ে মাবুদ মূসাকে বললেন, “তোমার যে লোকদের তুমি মিসর দেশ থেকে বের করে এনেছ তাদের নিয়ে তুমি এই জায়গা ছেড়ে আমার ওয়াদা করা দেশে(ফিলিস্তানে) যাও। সেই দেশ সম্বন্ধে আমি ইব্রাহিম, ইসহাক ও ইয়াকুবের কাছে এই ওয়াদা করেছিলাম যে, আমি তাদের বংশধরদের তা দেব।[4]বাইবেল:-কিতাবুল মোকদ্দার্স হিজরত(যাত্রাপুস্তক) ৩৩:১
কুরআনে বলা হচ্ছে,
- “মূসা (আ) ইয়াহুদীদের বললেন-হে আমার জাতি, তোমরা পবিত্র ভূমিতে (জেরুজালেম) প্রবেশ কর, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য লিখে দিয়েছেন এবং তোমরা তোমাদের পেছনে ফিরে যেয়ো না, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে’।’(সুরা মায়েদা ৫:২১)
- ইয়াহুদীরা জবাব দিয়েছিল :-তারা বলল, ‘হে মূসা, নিশ্চয় সেখানে রয়েছে এক শক্তিশালী জাতি এবং আমরা নিশ্চয় সেখানে প্রবেশ করব না, যতক্ষণ না তারা সেখান থেকে বের হয়। অতঃপর যদি তারা সেখান থেকে বের হয়, তবে নিশ্চয় আমরা প্রবেশ করব’। (সুরা মায়েদা ৫:২২)
- ইয়াহুদীরা জবাব দিয়েছিল :-‘হে মূসা, আমরা সেখানে কখনো প্রবেশ করব না, যতক্ষণ তারা সেখানে থাকে। সুতরাং, তুমি ও তোমার রব যাও এবং লড়াই কর। আমরা এখানেই বসে রইলাম’। (সুরা মায়েদা ৫:২৪)
- মুসা (আ) বললেন :সে বলল, ‘হে আমার রব, আমি আমার ও আমার ভাই ছাড়া কারো উপরে অধিকার রাখি না। সুতরাং আপনি আমাদের ও ফাসিক কওমের মধ্যে বিচ্ছেদ করে দিন। (সুরা মায়েদা ৫:২৫)
- আল্লাহ বললেন : ‘তাহলে নিশ্চয় তা তাদের জন্য চল্লিশ বছর নিষিদ্ধ; তারা যমীনে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরতে থাকবে। সুতরাং তুমি ফাসিক কওমের জন্য আফসোস করো না’। (সুরা মায়েদা ৫:২৬)
লক্ষনীয় যে, আজ থেকে ৩ হাজার বছর আগেই ফিলিস্তিনের পবিত্রভূমি ইয়াহুদীরা পরিত্যাগ করেছে। এই কথা ইহুদীদের হিব্রু বাইবেলেও আছে।
বাইবেলে বলছে-
মূসা কাছে যারা বসেছিল, কালেব তখন তাদের চুপ করতে বলল। তারপর কালেব বলল, “আমরা ওপরে যাবো এবং ঐ জায়গা আমাদের জন্য অধিকার করব। আমরা সহজেই ঐ জায়গা অধিকার করতে পারবো।” কিন্তু তার সঙ্গে অন্য যারা গিয়েছিল তারা বলল, “আমরা ঐ লোকদের সঙ্গে লড়াই করতে পারবো না। তারা আমাদের থেকে অনেক বেশী শক্তিশালী।”
এবং ঐ লোকরা ইস্রায়েলের অন্যান্য সমস্ত লোকদের বলল যে ঐ দেশের লোকদের পরাস্ত করার পক্ষে তারা যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। তারা বলল, “আমরা যে দেশ দেখেছিলাম সে দেশটি শক্তিশালী লোক পরিপূর্ণ। যারা ওখানে গিয়েছে এমন যে কোনো ব্যক্তিকেই ওখানকার অধিবাসীরা খুব সহজেই পরাস্ত করতে পারবে। এমন শক্তি তাদের আছে। আমরা সেখানে দৈত্যাকার নেফিলিম লোকদের দেখেছি। (অনাকের উত্তরপুরুষরা নেফিলিম লোকদের থেকেই এসেছিল।) তাদের কাছে আমাদের ফড়িং-এর মতো দেখাচ্ছিল। হ্যাঁ, আমরা তাদের কাছে ফড়িং-এর মতো।[5]গননা পুস্তক/শুমারী ১৩/৩০-৩৩। গননাপুস্তকে ৩২ নং অধ্যায়ে মূর্তিপূজারীদের তাড়িয়ে(যু্দ্ধ) করে জায়গা দখল
যেমনটা আল্লাহ আদেশ দিয়েছেন-
এক দিকে লোহিত সাগর থেকে ফিলিস্তিনীদের দেশের সাগর পর্যন্ত এবং অন্য দিকে মরুভূমি থেকে ফোরাত নদী পর্যন্ত তোমাদের দেশের সীমানা আমি স্থির করে দেব। সেই দেশে যারা বাস করছে তাদের আমি তোমাদের হাতে তুলে দেব আর তোমাদের সামনে থেকে তোমরা তাদের তাড়িয়ে বের করে দেবে। তাদের সংগে কিংবা তাদের দেবতাদের সংগে কোন চুক্তি করবে না। তোমাদের দেশের মধ্যে তাদের বাস করতে দেবে না। তা করলে তারা আমার বিরুদ্ধে তোমাদের গুনাহে টেনে নিয়ে যাবে, কারণ যদি তোমরা তাদের দেব-দেবীর পূজা কর তবে নিশ্চয়ই তোমরা তার ফাঁদে আট্কা পড়ে যাবে।”[6]বাইবেল:-হিজরত(যাত্রাপুস্তক) ২৩:৩১-৩৩
ফোরাত নদী থেকে শুরু করে মিসর ও ফিলিস্তিনীদের দেশের সীমা পর্যন্ত সমস্ত রাজ্যগুলো বনিইস্রায়েলের নবী সোলায়মানের শাসনের অধীনে ছিল। সোলায়মান যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন এই দেশগুলো তাঁকে খাজনা দিত এবং তাঁর অধীনে ছিল।[7]বাইবেল:-কিতাবুল মোকদ্দার্স ১ বাদশাহ্নামা(রাজাবলি) ৪:২১
মাবুদের চোখে যা খারাপ বনিইস্রায়েল তা-ই করত। তারা বাল-দেবতাদের পূজা করত। তাদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্, যিনি তাদের মিসর দেশ থেকে বের করে এনেছিলেন তাঁকে তারা বার বার ত্যাগ করত। তারা তাদের চারপাশের জাতিদের বিভিন্ন দেব-দেবীর দিকে ঝুঁকে পড়ত এবং সেগুলোর পূজা করত, আর তাতে তারা মাবুদের রাগ জাগিয়ে তুলত। এইভাবে তারা মাবুদকে ত্যাগ করে বাল-দেবতা ও অষ্টারোৎ দেবীর পূজা করত। সেইজন্য মাবুদ রাগে লুটকারীদের হাতে বনি-ইসরাইলদের তুলে দিতেন। তারা তাদের জিনিসপত্র লুট করে নিত। তাদের চারপাশের শত্রুদের হাতে তিনি তাদের তুলে দিতেন, কাজেই তারা শত্রুদের বিরুদ্ধে আর দাঁড়াতে পারত না। বনি-ইসরাইলরা যখন যুদ্ধে যেত তখন মাবুদ কসম খেয়ে যে ওয়াদা করেছিলেন সেই অনুসারে তাঁর হাত তাদের ক্ষতির জন্য তাদের বিরুদ্ধে থাকত, তাই তারা মহা বিপদের মধ্যে ছিল। তখন মাবুদ তাদের মধ্যে শাসনকর্তা দাঁড় করাতেন। তাঁরা লুটকারীদের হাত থেকে বনি-ইসরাইলদের রক্ষা করতেন, কিন্তু তবুও বনি-ইসরাইলরা এই শাসনকর্তাদের কথায় কান দিত না। মাবুদের প্রতি বেঈমানী করে তারা দেব-দেবীদের কাছে নিজেদের বিকিয়ে দিত এবং তাদের পূজা করত। তাদের পূর্বপুরুষেরা মাবুদের হুকুম পালন করে যে বাধ্যতার পথে চলতেন তারা সেই পথে না চলে অল্পকালের মধ্যেই সেই পথ থেকে সরে যেত।[8]বাইবেল কিতাবুল মোকাদ্দাস কাজীগণ(বিচার কর্তৃক) ২:১১-১৭
যেভাবে জেরুজালেম বনু ইসমাঈলের হাতে এলো…
বাইবেল বলছে,
মূর্তিপূজারী বনিইস্রায়েলদের এমন তাই আল্লাহ ফিলিস্তানকে ইসমাইলের বংশকে দেওয়া হুমকি দিলেন মূসার সামনেঃ-আল্লাহ্ নয় এমন দেবতার পূজা করে তারা আমার পাওনা (জেরুাজলেম ঘরে/মসজিদে) এবাদতের আগ্রহে আগুন লাগিয়েছে; অসার মূর্তির পূজা করে তারা আমার রাগ জাগিয়ে তুলেছে। জাতিই নয় এমন জাতির হাতে ফেলে আমিও তাদের অন্তরে আগুন জ্বালাব; একটা মূর্খ জাতির হাতে ফেলে তাদের রাগ জাগাব। “আমি সমস্ত বিপদ এনে তাদের উপর জড়ো করব; আমার সব তীর আমি তাদেরই উপর শেষ করব। ইসরাইল জাতির মধ্যে ভাল বুদ্ধি দেবার লোক নেই, তাদের বিচারবুদ্ধি বলে কিছু নেই।[9]বাইবেল:-দ্বিতীয় বিবরণ 32:21, 23, 28 MBCL
এখানে অবুঝ জাতি বনী ইসমাইল। বনি ইস্রায়েল ফিলিস্তান গেলেও বনি ইসমাইলরা পিছে থাকেনি, মূর্খ জাতি হিসেবে তাদেরকে দিয়ে আল্লাহ ইস্রায়েলদেরকে শায়েস্তা করার নিমিত্তে অনেক জায়গা দখল করে নিয়েছেন আগেভাগে। বাইবেল বলছেঃ
ইসমাইলের উত্তরপুরুষরা (বংশধররা) সমগ্র মরুভূমি অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে। এই অঞ্চলটি ছিল মিশরের কাছে হুবীলা থেকে শূর পর্য্ন্ত বিস্তৃত এবং এখান থেকে তা বিস্তৃত ছিল অশূরিযা পর্য্ন্ত। ইসমাইলের উত্তরপুরুষেরা প্রায়ই তার ভাইয়ের লোকেদের বনিইস্রায়েলদের আক্রমণ করতো।[10]বাইবেল:-আদিপুস্তক 25:18 BERV
আরো আছে,
বনিইস্রায়েল মূর্তিপূজা করায় সদাপ্রভু ইস্রায়েলদের পক্ষ নেওয়া কমিয়ে বনিইসমাইলের দিকে ঝুকলেন:-“আমিই প্রভু। আমার নাম যিহোবা। আমার মহিমা আমি অপরকে দেব না। যে মহিমা আমার পাওয়া উচিৎ সেই প্রশংসা মূর্ত্তিদের আমি নিতে দেব না। শুরুতেই আমি বলেছিলাম, কিছু একটা ঘটবে। এবং ঐসব জিনিস ঘটেছিল। এবং এখন অন্য কিছু ঘটার আগেই, তোমাদের আমি ভবিষ্যতে কি ঘটবে সে সম্বন্ধে জানাব।” মরুভূমি ও শহর, পূর্ব ইস্রায়েলের কেদরের গ্রামগুলি প্রভুর প্রশংসা কর। শেলাবাসীরা আনন্দগীত গাও! পর্বতশৃঙ্গ থেকে তোমরা গেয়ে ওঠ। তারা প্রভুকে মহিমাম্বিত করুক। দূর দেশের লোকরা প্রভুর প্রশংসা করুক। প্রভু বলবান সৈন্যের মত চলে যাবেন! তিনি হবেন যুদ্ধ করতে প্রস্তুত মানুষের মত। তিনি প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে উঠবেন। তিনি কাঁদবেন, উচ্চস্বরে চিৎকার করবেন এবং তার শত্রুদের পরাজিত করবেন।[11]যিশাইয় ভাববাদীর পুস্তক 42:8-9, 11-13 BERV
আমি অন্ধদের, তাদের অজানা পথে চালাব, অপরিচিত পথগুলিতে আমি তাদের পরিচালিত করব; আমি তাদের সামনে অন্ধকারকে আলোয় পরিণত ও অসমতল স্থানকে মসৃণ করে দেব। আমি এসব কাজ করব; আমি তাদের পরিত্যাগ করব না। কিন্তু যারা প্রতিমাদের উপরে নির্ভর করে, যারা প্রতিমাদের কাছে বলে, ‘তোমরা আমাদের দেবতা,’ চরম লজ্জায় তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে।[12]যিশাইয় 42:16-17 BCV
ইসমাইলের ২য় পুত্র কেদার/কেদর[13]বাইবেল:-১ বংশাবলি ১:২৮-৩১ এবং কেদারের উপনিবেশ হলো আরব [14]বাইবেল যিশাইয়া ২১:১৭ কেদার/কেদর ইসমাইলের সূত্রে পূর্ব ইস্রায়েল ঘোষনা দিয়েছেন আল্লাহ। তাদেরকে ইস্রায়েলদের মতো করে তাদেরকে ভালবাসতে শুরু করলেন এবং তাদেরকে ছেড়ে তিনি যাবেন না,ওয়াদা করলেন। তাদের কাছে পাওনা এবাদত তিনি মূর্তিদেরকে দিতে দিবেন না। এরপর মূসলিমদের জেরুজালেম দখল বিষয়ে আল্লাহ বললেন:
“হে জেরুজালেম, তুমি আমার জন্য অপেক্ষা কর; যেদিন আমি জাতিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবার জন্য উঠে দাঁড়াব তুমি সেই দিনের জন্য অপেক্ষা কর। আমি ঠিক করেছি যে, জাতিদের আমি জমায়েত করব, রাজ্যগুলো একত্র করব এবং তাদের উপর আমার গজব, আমার জ্বলন্ত রাগ ঢেলে দেব। আমার দিলের জ্বালার আগুনে গোটা দুনিয়া পুড়ে যাবে। তারপর আমি জাতিদের মুখ পাক-সাফ করব(For then will I turn to the people a pure language, that they may all call upon the name of the LORD-সেই লোকদের আমি বিশুদ্ধ ভাষা দিবো যেন সেই ভাষাতে সদাপ্রভুকে ডাকে=BIBLE KJV) যাতে তারা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমার এবাদত করতে পারে। ইথিওপিয়া দেশের নদীগুলোর ওপার থেকে আমার এবাদতকারীরা, আমার ছড়িয়ে পড়া বান্দারা আমার উদ্দেশে কোরবানীর জিনিস নিয়ে আসবে। তুমি আমার প্রতি যে সব অন্যায় করেছ তার জন্য তুমি সেই দিন লজ্জিত হবে না, কারণ এই শহর থেকে আমি সব অহংকারী ও গর্বিত লোকদের বের করে দেব। আমার পবিত্র পাহাড়ের উপরে তুমি আর কখনও গর্ব করবে না। যারা মাবুদের উপর ভরসা করে সেই রকম নত ও নম্র লোকদের আমি তোমার মধ্যে বাকী রাখব। ইসরাইলের সেই বাকী লোকেরা অন্যায় করবে না; তারা মিথ্যা কথা বলবে না এবং তাদের মুখে ছলনা থাকবে না। তারা খেয়ে নিরাপদে ঘুমাবে, কেউ তাদের ভয় দেখাবে না।[15]বাইবেল:-কিতাবুল মোকদ্দাস ভার্সন ”সফনিয় 3:8-13 MBCL
এখানে জেরুাজলেমকে বলা হচ্ছে মুসলিম জাতি আসবে,তারা কাধে কাধ মিলিয়ে নামাজ পড়বে,তারা বিশুদ্ধ ভাষায় আল্লাহর এবাদত করবে,আমরা আরব-অনারব সবাই আরবিতে নামাজ পড়ি। তাদের খেলাফত ইথিওপিয়া (সুদান) নদীগুলোর সীমানা পাড় করবে এবং আল্লাহর উদ্দেশ্য কুরবানী তারা দিবে,উগ্রদেরকে জেরুজালেম থেকে তাড়াবে। বাকি ইহুদিরা তাদের তত্ত্বধানে শান্তি মতো থাকবে। এভাবে ইস্রায়েলদের ওপর শাস্তি দূর করবেন আল্লাহ।
একই কথা হাদিসেও ভবিষতবানী আছে:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হে আওফ! ভেতরে এসো।আমি বললাম,হে আল্লাহর রাশুল! আমি কি সম্পুর্ন প্রবেশ করবো? তিনি বলেনঃ হাঁ, সম্পুর্নভাবে এসো। অতঃপর তিনি বললেনঃ হে আওফ! কিয়ামতের পূর্বকার ছয়টি আলামত স্বরন রাখবে। সেগুলোর একটি হচ্ছে আমার মৃত্যু। আওফ (রাঃ) বলেন, আমি একথায় অত্যন্ত মর্মাহত হলাম। তিনি বলেনঃ তুমি বলো, প্রথমটি। অতঃপর বাইতুল মুকাদ্দাস বিজয় (জেরুজালেম বিজয়)[16]সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪০৪২
★বাইবেলের উক্ত কথাই হুবহু ইসলামে ইতিহাসে সাক্ষী:-
খলিফা ওমর ফারুক (রা.) মাসজিদ বিজয় :-পরে রোমকরা খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করলেও ‘ইহুদিদের জেরুজালেম প্রবেশ নিষিদ্ধ’ হুকুম নামাটি বজায় রাখে। দ্বিতীয় খলিফা ওমর ফারুক (রা.) ৬৩৯ খ্রিস্টাব্দে প্রায় ৬ শত বছর পর জেরুজালেমে রক্তপাতহীন প্রবেশকালে প্রতিটি ধর্মকে ধর্মীয় স্বাধীনতা দেন এবং ইহুদিরা পুনরায় জেরুজালেমে প্রবেশ করে। সংখ্যাগুরু খ্রিস্টান ও ইহুদিরা মুসলিম শাসনকে দুই হাত আবাহন করে। বিগত চার হাজার বছর ধরে বারংবার র।ক্তের হোলি খেলার মধ্যে পালাবদলের মধ্যে এটি ছিল র।ক্তপাতহীন পালাবদল। ইসলামের বৈপ্লবিক দিক, দুর্বল, দলিত, দরিদ্র মানুষের হয়ে আপোষহীন লড়াই ও আশ্রয়দানের দিকটি উদ্ভাসিত করে।এরপরের ইতিহাস নিরবিচ্ছিন্ন শান্তি ও উন্নয়নের ইতিহাস হতে পারত। উমর ফারুক (রা.)-র জেরুজালেম প্রবেশের প্রায় ৫০০ বছর পর পশ্চিম ইউরোপের ফ্রেন্চ, ব্রিটিশ, জার্মান ইত্যাদি লাতিনো খ্রিষ্টানরা ক্রু।সেড যু।দ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই তৎকালীন অনুন্নত জাতিগুলির বর্বরতা ও রক্ত পিপাসার সামনে সমস্ত লেভান্ট এলাকার স্থানীয় ইহুদী, মুসলিম এমনকি বিরুদ্ধ মতের খ্রিস্টানরাও হেরে ভূত হয়ে যায়। যদি এদের দুশো বছরের উৎপাত শেষ হয় বীর সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর তত্ত্বাবধানে ল্যাটিনো খ্রিস্টানদের সঙ্গে পারস্পরিক সৌহার্দ্যের মধ্য দিয়ে। যুদ্ধ হলেও প্রতিহিংসা ছিল না। এরপর মোঙ্গল উৎপাতের পর পুনরায় নিরবিচ্ছিন্ন শান্তি ও উন্নয়নের ইতিহাস। মুসলিম শাসনে বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর সহাবস্থান ছিল আদর্শ।
মুসলিমদের ব্যাপারে যিশু/ঈসা একগুঁয়ে স্বভাবী ইহুদি জাতিদেরকে বললেন-এইজন্য আপনাদের বলছি, আল্লাহ্র রাজ্য (জেরুজালেম)আপনাদের কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হবে এবং এমন লোকদের দেওয়া হবে যাদের জীবনে সেই রাজ্যের উপযুক্ত ফল দেখা যাবে। যে সেই পাথরের উপরে পড়বে সে ভেংগে টুকরা টুকরা হয়ে যাবে এবং সেই পাথর যার উপরে পড়বে সে চুরমার হয়ে যাবে।” প্রধান ইমামেরা এবং ফরীশীরা ঈসার শিক্ষা-ভরা গল্পগুলো শুনে বুঝতে পারলেন তিনি তাঁদের কথাই বলছেন। তখন তাঁরা তাঁকে ধরতে চাইলেন, কিন্তু লোকদের ভয়ে তা করলেন না, কারণ লোকে ঈসাকে নবী বলে মনে করত।[17]বাইবেল:-কিতাবুল মোকদ্দাস 21:43-46 MBCL
ঈসা ইহুদি নারীকে বললেন-তখন স্ত্রীলোকটি ঈসাকে বলল, “আমি এখন বুঝতে পারলাম আপনি একজন নবী। আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই পাহাড়ে এবাদত করতেন, কিন্তু আপনারা বলে থাকেন জেরুজালেমেই লোকদের এবাদত করা উচিত।” ঈসা তাঁকে বললেন, “শোন, আমার কথায় ঈমান আন, এমন সময় আসছে যখন পিতার এবাদত তোমরা এই পাহাড়েও করবে না, জেরুজালেমেও করবে না।[18]বাইবেল:-কিতাবুল মোকদ্দার্স ভার্সন,ইউহোন্না(যোহন) 4:19-21 MBCL
এমনকি সেন্ট পলও জেরুজালেমের বাসিন্দাদেরকে হাজেরা সন্তান বলে আখ্যা দিয়েছেন তথা আরবদের, মুসলিমদের:-
আমি রূপক অর্থে এই সব কথা বলছি। এই দু’জন স্ত্রীলোক দু’টি ব্যবস্থাকে বুঝায়। একটা ব্যবস্থা তুর পাহাড় থেকে এসেছে এবং তা তার অধীন মানুষকে গোলাম হবার পথে নিয়ে যাচ্ছে। এ হল সেই বাঁদী হাজেরা। হাজেরা আরব দেশের তুর পাহাড়কে বুঝায়। হাজেরা এখনকার জেরুজালেমের একটা ছবিও বটে, কারণ জেরুজালেম তার ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাঁদী হয়েছে। কিন্তু যে জেরুজালেম বেহেশতের, সে স্বাধীন; সে-ই আমাদের মা।[19]বাইবেল:-কিতাবুল মোকদ্দাস,গালাতীয় 4:24-26 MBCL
আরবদের মা, নবী ইবরাহিমের বাদী হলেও তাকে বিয়া করা হয় এবং স্বাধীন হন:-
তাই কেনান দেশে ইব্রামের দশ বছর কেটে যাওয়ার পর সারী তাঁর মিসরীয় বাঁদী হাজেরার সংগে ইব্রামের বিয়ে দিলেন।[20]বাইবেল:-কিতাবুল মোকাদ্দাস ভার্সন পয়দায়েশ(আদিপুস্তক) 16:3 MBCL
জেরুাজলেম যেহেতু মুসলিমদের সম্পত্তি এবং এর ফজিলতঃ
কুরআনে আছে,
পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দা (নবী মুহাম্মাদ (স)) কে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যান্ত-যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল।[21]সূরাঃ বনী ইসরাঈল,১৭:১
সুন্নাহে আছে,
আবূ যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! পৃথিবীতে কোন মসজিদটি সর্বপ্রথম নির্মিত হয়েছিল? তিনি বললেন, মসজিদুল হারাম। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি (মাসজিদটি)। তিনি বললেন, আল মাসজিদুল আকসা বা বায়তুল মাকদিস। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এ দু’টি মসজিদের নির্মাণকালের মধ্যে ব্যবধান কত? তিনি বললেন, চল্লিশ বছর। (তিনি আরো বললেন) যে স্থানেই সালাতের সময় উপস্থিত হবে, তুমি সেখানেই সালাত আদায় করে নিবে। কারণ সে জায়গাটাও মাসজিদ।[22]সহিহ মুসলিম ৫২০, https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=47801
মহানবী (ﷺ) বলেন,
“তিনটি মসজিদ ছাড়া আর কোন স্থান যিয়ারতের জন্য সফর করা যাবে না; মসজিদুল হারাম, মসজিদুল আকসা ও আমার এই মসজিদ (নববী)।” (বুখারী,মুসলিম, সহীহ মিশকাত ৬৯৩)
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন, যখন কুরাইশরা আমাকে অস্বীকার করল, তখন আমি কা‘বার হিজর অংশে দাঁড়ালাম। আল্লাহ্ তা‘আলা তখন আমার সামনে বায়তুল মুকাদ্দাসকে তুলে ধরলেন, যার কারণে আমি দেখে দেখে বাইতুল মুকাদ্দাসেট নিদর্শনগুলো তাদের কাছে ব্যক্ত করছিলাম।[23]বুখারী পর্ব ৬৩ : /৪১ হাঃ ৩৮৮৬, মুসলিম ১/৭৫, হাঃ ১৭০, আল লু’লু ওয়াল মারজান, হাদিস নং ১০৯
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাঃ) বলেছেন: সুলাইমান ইবনু দাঊদ বাইতুল মুকাদ্দাস মাসজিদের কাজ সম্পন্ন করে আল্লাহর কাছে তিনটি বিষয় প্রার্থনা করেন: আল্লাহর বিধানের অনুরূপ সুবিচার, এমন রাজত্ব যা তার পরে আর কাউকে দেয়া হবে না, এবং যে ব্যক্তি বাইতুল মুকাদ্দাস শুধুমাত্র সলাত আদায়ের জন্য আসবে, সে তার গুনাহ্ হতে সদ্য প্রসূত সন্তানের মত নিস্পাপ অবস্থায় বের হবে। অতঃপর নাবী (সাঃ) বলেন: প্রথম দু’টি তাঁকে দেয়া হয়েছে। আর আমি আশা করি তৃতীয়টি আমাকে দান করা হবে।[24]সহিহ ফাযায়েলে আমল, হাদিস নং ১৪৮
আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘আমার উম্মতের একটি দল দামেস্কের প্রবেশপথগুলোতে এবং তার আশপাশে সংগ্রাম করতে এবং বায়তুল মুকাদ্দাস ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বদা (সত্যের পক্ষে) সংগ্রামরত থাকবে। কিয়ামত পর্যন্ত সত্যের শত্রুরা তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না’[25]মুসান্নাফে আবি ইয়ালা-৬৪১৭ https://shamela.ws/book/12520/6444
এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত লিখা দেখুনঃ
- আল কুরআন অনুযায়ী ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমির মালিক কি ইহুদিরা?
- প্রতিশ্রুত ভূমির (Promised Land) সীমানা নিয়ে বাইবেলের চতুর্মুখী স্ববিরোধিতাঃ জায়নবাদের জাল দলিল
- বাইবেল অনুযায়ী ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমির মালিক কি ইহুদিরা?
Footnotes
⇧1 | বাইবেলঃ কিতাবুল মোকাদ্দাস ভার্সন, আদিপুস্তক 17:19-20 MBCL |
---|---|
⇧2 | বাইবেলঃ কিতাবুল মোকাদ্দাস ভার্সন, আদিপুস্তক 15:18 BACIB |
⇧3 | বাইবেল – আদিপুস্তক (পয়দায়েশ)15:12-16 BACIB |
⇧4 | বাইবেল:-কিতাবুল মোকদ্দার্স হিজরত(যাত্রাপুস্তক) ৩৩:১ |
⇧5 | গননা পুস্তক/শুমারী ১৩/৩০-৩৩। গননাপুস্তকে ৩২ নং অধ্যায়ে মূর্তিপূজারীদের তাড়িয়ে(যু্দ্ধ) করে জায়গা দখল |
⇧6 | বাইবেল:-হিজরত(যাত্রাপুস্তক) ২৩:৩১-৩৩ |
⇧7 | বাইবেল:-কিতাবুল মোকদ্দার্স ১ বাদশাহ্নামা(রাজাবলি) ৪:২১ |
⇧8 | বাইবেল কিতাবুল মোকাদ্দাস কাজীগণ(বিচার কর্তৃক) ২:১১-১৭ |
⇧9 | বাইবেল:-দ্বিতীয় বিবরণ 32:21, 23, 28 MBCL |
⇧10 | বাইবেল:-আদিপুস্তক 25:18 BERV |
⇧11 | যিশাইয় ভাববাদীর পুস্তক 42:8-9, 11-13 BERV |
⇧12 | যিশাইয় 42:16-17 BCV |
⇧13 | বাইবেল:-১ বংশাবলি ১:২৮-৩১ |
⇧14 | বাইবেল যিশাইয়া ২১:১৭ |
⇧15 | বাইবেল:-কিতাবুল মোকদ্দাস ভার্সন ”সফনিয় 3:8-13 MBCL |
⇧16 | সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪০৪২ |
⇧17 | বাইবেল:-কিতাবুল মোকদ্দাস 21:43-46 MBCL |
⇧18 | বাইবেল:-কিতাবুল মোকদ্দার্স ভার্সন,ইউহোন্না(যোহন) 4:19-21 MBCL |
⇧19 | বাইবেল:-কিতাবুল মোকদ্দাস,গালাতীয় 4:24-26 MBCL |
⇧20 | বাইবেল:-কিতাবুল মোকাদ্দাস ভার্সন পয়দায়েশ(আদিপুস্তক) 16:3 MBCL |
⇧21 | সূরাঃ বনী ইসরাঈল,১৭:১ |
⇧22 | সহিহ মুসলিম ৫২০, https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=47801 |
⇧23 | বুখারী পর্ব ৬৩ : /৪১ হাঃ ৩৮৮৬, মুসলিম ১/৭৫, হাঃ ১৭০, আল লু’লু ওয়াল মারজান, হাদিস নং ১০৯ |
⇧24 | সহিহ ফাযায়েলে আমল, হাদিস নং ১৪৮ |
⇧25 | মুসান্নাফে আবি ইয়ালা-৬৪১৭ https://shamela.ws/book/12520/6444 |
গৌবিন্দ চন্দ্র প্রমাণিক নামক এক আবাল হেদূ বলেছিল, জেরুজালেম নাকি হেদূ পন্ডিতদের ছিল।