অপ্সরা – হিন্দুদের অপূর্ণ স্বপ্ন

হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী অপ্সরা হচ্ছে হিন্দুদের কাল্পনিক স্বর্গে তাদের যৌন মিলন করার জন্য ঈশ্বরের পক্ষ থেকে দেওয়া যৌন আবেদনময়ী মেয়ে। হিন্দুরা স্বর্গে গেলে তারা সেক্স করার জন্য হাজার হাজার অপ্সরা পাবে। আসুন জেনে নিই এ সম্পর্কে তাদের ধর্মগ্রন্থগুলো কী বলছে।
বেদে অপ্সরা
সবার আগে আমরা হিন্দুদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদ থেকে বোঝার চেষ্টা করি অপ্সরা কেমন।
অপ্সরার বৈদিক ভিত্তি
নিরুক্ত হচ্ছে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ বেদের একটি অঙ্গ। এটা অনুযায়ী বেদের অর্থ নির্ধারিত হয়। নিরুক্তের ৫ম অধ্যায়ে লেখা আছেঃ[1]নিরুক্তম্, অধ্যায় ৫, পরিচ্ছেদ ১৩-১৪, অমরেশ্বর ঠাকুর https://www.frommuslims.com/নিরুক্ত-pdf/
উর্বশ্যপ্সরা উর্ভব্যশ্নুভ উরুভ্যামশ্নুত উরুর্বা বশোহস্যাঃ ।।১।।
উর্বশী = অপ্সরাঃ; উরু অভ্যশ্নুতে (মহৎ যশ অভিব্যাপ্ত করে), উরুভ্যাম্ অশ্নুতে – (উরুদ্বয়ের দ্বারা সম্ভোগকালে পুরুষকে ব্যাপ্ত করে অর্থাৎ বশীভূত করে) বা (অথবা ) অস্যা (ইহার) উরুঃ বশঃ ( মহান্ কাম)।
“উর্বশী’ শব্দ অনবগত, উর্বশী অপ্সরাবিশেষ। ‘উর্বশী’ শব্দের ব্যুৎপত্তি— (১) উরু অর্থাৎ মহৎ যশ ব্যাপ্ত করে, অর্থাৎ মহাযশের অধিকারিণী; উরু+’অশ্’ ধাতু হইতে নিষ্পন্ন উর্বাশিনী- উর্বশী (২) মৈথুনকালে উরুদ্বয়ের দ্বারা পুরুষকে ব্যাপ্ত করে অর্থাৎ বশীভূত করে। উরু+’অশ্’ ধাতু হইতেই নিষ্পন্ন – উর্বাশিনী – উর্বশী (৩) ইহার বশ অর্থাৎ কাম উরু (মহান্); উরুবশিনী – উর্বশী।
অর্থাৎ, এখানে নিরুক্তের লেখক (দাবি করা হয়ে থাকে নিরুক্তের লেখকের নাম যাস্ক) লিখেছেন উর্বশী একজন অপ্সরার নাম। তার নাম কেন উর্বশী সেটার কারণ হিসাবে তিনটা কথা বলেছেন,
- উর্বশীর উরু দুটো (কোমর থেকে হাঁটু পর্যন্ত অংশ) খুবই বিখ্যাত।
- সেক্স করার সময় সে তার উরু দুটোর মাধ্যমে পুরুষকে বশ করে রাখে। অর্থাৎ, উর্বশী সেক্সে এতোটাই এক্সপার্ট যে সে তার উরু দুটো দিয়ে সাথের পুরুষকে বশ করে ফেলতে পারে।
- তার উরুগুলো অনেক কামুক। সেগুলো অনেক মহান।

অর্থাৎ, মুলত তার ‘উরু’ এর জন্যেই তার নাম উর্বশী। এখন সে তো অপ্সরাদের একজন মাত্র। অপ্সরার উৎপত্তিও নিরুক্তের তথাকথিত লেখক যাস্ক বর্ণনা করেছেন।
এখানে নিরুক্তের লেখকের মতে,
- অপ্সরারা জলচারিণী, মানে পানিতে খেলাধুলা করতে পছন্দ করে।
- অপ্সরাদের তাদের (অপ্স) রূপের কারণে অপ্সরা বলা হয়। এই রূপ খাওয়া যায় না, চোখ দিয়ে দেখা যায়।
- শাকপূণির মতে রূপের স্পষ্টতার কারণে তাদের নাম অপ্সরা।
- [শুক্ল যজুর্বেদ ২০/১৭ এবং যজুর্বেদ মৈত্রায়নী শাখার ১/১০/২] “যদপ্স” থেকে অপ্সরা এসেছে। যার মানে “আমরা অপ্স ভক্ষণ করেছি”। অর্থাৎ আসলে অপ্সরাদের খাওয়া যাবে।
- [শুক্ল যজুর্বেদের ১৪/৪] “অপ্সো নাম” বাক্য থেকে অপ্সরা এসেছে। অর্থাৎ যার রূপ ব্যাপক।
- অপ্সরারা কোনোখান থেকে রূপ নিয়েছে, অথবা হিন্দুদের বিধাতা অপ্সরাদের রূপ দিয়েছে।
যজুর্বেদের ১৪ অধ্যায়ের ৪ নং মন্ত্রটি হলোঃ
পৃথিব্যাঃ পুরীষমস্যপ্সো নাম তাং ত্বা বিশ্বেऽঅভি গৃণন্তু দেবাঃ । স্তোমপৃষ্ঠা ঘৃতবতীহ সীদ প্রজাবদস্মে দ্রবিণাऽऽ য়জস্বাশ্বিনাধ্বর্য়ূ সাদয়তামিহ ত্বা ॥৪॥
মৈত্রায়নী সংহিতার ১/১০/২ দেখা যাকঃ
yad grāme yad araṇye yat sabhāyāṃ yad indriye /
yad enaś cakṛmā vayaṃ yad apsaś cakṛmā vayam /
tad ekasyāpi cetasi tad ekasyāpi dharmaṇi /
tasya sarvasyāṃhaso ‘vayajanam asi.[2]http://gretil.sub.uni-goettingen.de/gretil/1_sanskr/1_veda/1_sam/maitrs_pu.htm#:~:text=yad%20gr%C4%81me%20yad,sarvasy%C4%81%E1%B9%83haso%20’vayajanam%20asi%20%2F%2F
উল্লেখ্য, যজুর্বেদ (মাধ্যন্দিনী শাখা/শুক্লযজুর্বেদের ২০/১৭) মন্ত্রে এই অংশ মিসিং, বা বিকৃত হয়ে গেছেঃ
য়দ্ গ্রামে য়দরণ্যে য়ৎসভায়াং য়দিন্দ্রিয়ে । য়চ্ছূদ্রে য়দর্য়ে য়দেনশ্চকৃমা বয়ং <এখানে মিসিং> য়দেকস্যাধি ধর্মণি তস্যাবয়জনমসি ॥১৭॥
নিরুক্তের কথা অনুযায়ী বেদের ‘যদপ্স’ কথিত শুদ্ধ যজুর্বেদ (শুক্ল যজুর্বেদ) এই মিসিং। বেদের বিকৃতি নিয়ে আরও পড়ুনঃ
যাহোক, অপ্সরার মূল ভিত্তি যে বেদ তা প্রমাণিত হলো।
অপ্সরা দেখে দেবতাদের বীর্যপাত
তবে কাহিনি এখানে শেষ নয়।
তস্যা দর্শনাম্মিত্রাবরুণয়োরেতস্শ্চস্কন্দ তদভিবাদিন্যেষর্গ্ ভবতি ॥৮॥
তস্যাঃ দর্শনাৎ (সেই অপ্সরা উর্বশীকে দর্শন করিয়া) মিত্রাবরুণয়োঃ ( মিত্র ও বরুণের ) রেতঃ (বীর্য্য) চস্কন্দ (স্খলিত হইয়াছিল); তদভিবাদিনী (তদর্থপ্রকাশিনী ), এষা ঋক্ ভবতি ( এই ঋকটি হইতেছে)।
উর্বশীকে দেখিয়া মিত্রাবরুণের রেতঃস্থলন হয়, তাহাতেই বশিষ্ঠের জন্ম। যে ঋঙ্মন্ত্র উদ্ধৃত হইতেছে তাহাতে এই আখ্যায়িকা বর্ণিত আছে।
নিরুক্তের লেখক তারপর লিখেছেন উর্বশীকে দেখে মিত্রা এবং বরুনের অর্গাজম হয়ে যায়, আর তাতে বশিষ্ঠের জন্ম হয়, এই কাহিনি যেখানে বর্ণিত হয়েছে সেই ঋগ্বেদের মন্ত্রটি তিনি উল্লেখ করছেন।
उतासि मैत्रावरुणो वसिष्ठोर्वश्या ब्रह्मन्मनसोऽधि जातः । द्रप्सं स्कन्नं ब्रह्मणा दैव्येन विश्वे देवाः पुष्करे त्वाददन्त ॥
utāsi maitrāvaruṇo vasiṣṭhorvaśyā brahman manaso ‘dhi jātaḥ | drapsaṃ skannam brahmaṇā daivyena viśve devāḥ puṣkare tvādadanta ||
উতাসি মৈত্রবরুণো বশিষ্ঠোর্বশ্যা ব্রহ্মস্মনসোহধিজাতঃ। দ্রপ্সম স্কন্নম ব্রহ্মণা দৈব্যেন বিশ্বেদেবাঃ পুষ্করে ত্বাদদন্ত ॥ ১১॥
হে বশিষ্ঠ, উত (আরও) মৈত্র’বরুণঃ অসি (মিত্র এবং বরুণের পুত্র হইতেছ ); ব্রহ্মণ্ (হে ব্রহ্মণ্) উর্বশ্যা (উর্বশীর ) অধি ( উপর ) মনসঃ (মিত্রা বরুণের অভিলাষ হইতে ) জাতঃ ( জন্মিয়াছ ); বিশ্বে দেবাঃ ( সমস্ত দেবগণ) দৈব্যেন ব্রহ্মণা (দৈব্য অর্থাৎ দেবগণের স্বভূত স্তোত্রের দ্বারা) স্কন্নং দ্রপ্সং ত্বা (স্খলিত রেতঃস্বরূপ তোমাকে) পুষ্করে (অন্তরিক্ষে ) অদদস্য (ধারণ করিয়াছিলেন ) ।
উর্বশীকে দেখিয়া মিত্রাবরুণের সম্ভোগাভিলাশ উদ্রিক্ত হয় এবং রেতঃস্খলন হয়। এই রেতঃই বশিষ্ঠের কারণীভূত বীজ। ভূমিতে পতিত না হয় এই জন্য সমস্ত দেবতা তাঁহাদের স্বভূত ঋগ্-যজুঃ-সামাখ্য স্তোত্রে স্তব করিতে করিতে অন্তরিক্ষেই সেই রেতঃ ধারণ করিয়াছিলেন।
ভেবে দেখুন কী রকম হলে উর্বশীকে শুধুমাত্র দেখেই দুই দুইজন দেবতার অর্গাজম হয়ে যায়। হিন্দুরা কীসের আশায় দিন গুণছে! কন্ট্রোল হবে তো, যেখানে দেবতারাই পারছে না!
উল্লেখ্য যারা এখানে নিরুক্ত মেনে অর্থ করেছেন তাদের মধ্যে উইলসন, গ্রিফিথ, সায়ন, রাম গোবিন্দ ত্রিবেদীরা আছে,
উইলসনের অনুবাদঃ
“Verily, Vasiṣṭha you are the son of Mitra and Varuṇa, born, Brahmā, of the will of Urvaśī, after the seminal effusion; all the gods have sustained you, (endowed) with celestial and Vedic vigour in the lake.”[3]https://www.wisdomlib.org/hinduism/book/rig-veda-english-translation/d/doc834855.html
“সত্যিই, বশিষ্ঠ তুমি মিত্র ও বরুণের পুত্র, জন্মেছ, ব্রহ্মা, উর্বশীর ইচ্ছায়, বীর্য নিঃসরণের পরে ; সমস্ত দেবতারা হ্রদে স্বর্গীয় ও বৈদিক শক্তির সাথে (সমৃদ্ধ করেছেন) তোমাকে টিকিয়ে রেখেছেন।”
গ্রিফিথের অনুবাদ,
Born of their love for Urvasi, Vasiṣṭha thou, priest, art son of Varuṇa and Mitra;
And as a fallen drop, in heavenly fervour, all the Gods laid thee on a lotus-blossorn.[4]https://www.sacred-texts.com/hin/rigveda/rv07033.htmউর্বসীর প্রতি তাদের ভালবাসার জন্ম, বশিষ্ঠ তুমি, পুরোহিত, বরুণ ও মিত্রের পুত্র;
এবং একটি পতিত ফোঁটা হিসাবে, স্বর্গীয় উচ্ছ্বাসে , সমস্ত দেবতা আপনাকে একটি পদ্মফুলের উপর শুইয়ে দিয়েছিলেন।
সায়ন ভাষ্য,
Born ofthe will of Urvaśī: Urvaśī, on seeing the birth of the Ṛṣi, said to herself, let this be my son; Endowed withcelestial and vedic vigour: brahmaṇā daivyena; adding an epithet: yuktam, joined with; devasambandhinavedarāśināhambhuva yuktam;
Puṣkara = kumbha, pitcher used at sacrifice, or the vasatīvara, the pool ofwater prepared for the same. Vasiṣṭha was born when the vessel, puṣkara, was over-filled and some contentsfell upon the earth. Agastya was born of the contents in the vessel; the overflowing fluid being collected together,Vasiṣṭha remained in the lake, tato apsu gṛhyamāṇāsu vasiṣṭhāḥ puṣkare sthitaḥ; Puṣkara is also thename of a lake in Ajmer; Padma Purāṇa cites it as the hermitage of Agastya (Sṛṣṭi khaṇḍa)[5]https://www.wisdomlib.org/hinduism/book/rig-veda-english-translation/d/doc834855.html
উর্বশীর ইচ্ছায় জন্ম: উর্বশী, ঋষির জন্ম দেখে মনে মনে বললেন, এটা আমার ছেলে হোক; স্বর্গীয় এবং বৈদিক শক্তিতে সমৃদ্ধ: ব্রহ্মণা দৈব্যেন;: যুক্তাম: এর সাথে যুক্ত; দেবসম্বন্ধিনবেদারাশিনাহম্ভুব যুক্তম;
পুষ্কর = কুম্ভ, বলির সময় ব্যবহৃত কলস, বা ভাসতীভার, একই জন্য প্রস্তুত জলের পুকুর। বশিষ্ঠের জন্ম হয়েছিল যখন পাত্র, পুষ্কর, অত্যধিক পরিপূর্ণ ছিল এবং কিছু সামগ্রী পৃথিবীতে পড়েছিল। অগস্ত্য পাত্রের বিষয়বস্তু থেকে জন্মগ্রহণ করেন; একত্রে উপচে পড়া তরল সংগ্রহ করা হচ্ছে, বশিষ্ঠ হ্রদে রয়ে গেল, ততো আপসু গৃহ্যমানাসু বশিষ্ঠথাঃ পুষ্করে স্থিতঃ; পুষ্কর হল আজমেরের একটি হ্রদের নামও; পদ্ম পুরাণ এটিকে অগস্ত্যের আশ্রম হিসেবে উল্লেখ করেছে (পদ্মপুরাণ, সৃষ্টিকাণ্ড)
রাম গোবিন্দ ত্রিবেদীর অনুবাদ,
११. और, हे वसिष्ठ, तुम मित्र और वरुण के पुत्र हो । हे ब्रह्मन्, तुम उवंशी के मन से उत्पन्न हो। उस समय मित्र और वरुण का वीयं- स्खलन हुआ था। विश्वदेवगण ने वंव्य स्तोत्र द्वारा पुष्कर के बीच तुम्हें धारण किया था ।
11. aur, he vasishth, tum mitr aur varun ke putr ho . he brahman, tum uvanshee ke man se utpann ho. us samay mitr aur varun ka veeyan- skhalan hua tha. vishvadevagan ne vanvy stotr dvaara pushkar ke beech tumhen dhaaran kiya tha .
11. এবং হে বশিষ্ঠ, তুমি মিত্র ও বরুণের পুত্র। হে ব্রাহ্মণ, তুমি উর্বশীর মন থেকে জন্মেছ। সেই সময় মিত্র ও বরুণের বীর্যপাত হয়। বিশ্বদেবগন আপনাকে বন্যা স্তোত্র দ্বারা পুষ্করের মাঝখানে ধারণ করেছিলেন।
তবে দয়ানন্দ সরস্বতী ও তার চ্যালাপ্যালাগণের মতো কেউ কেউ অনুবাদে জালিয়াতি করে ব্যাপারগুলো লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করে।
স্বর্গে বহু অপ্সরা লাভ
অথর্ববেদে লোভ দেখানো হয়েছে যেসব হিন্দু পুরুষ তপস্যা করবে তাদের যৌনাঙ্গ আগুন দিয়ে পোড়ানো হবে না, তারা স্বর্গে বহু স্ত্রী পাবে। অথর্ববেদে রয়েছে,
নৈষাং শিশ্নং প্র দহতি জাতবেদাঃ স্বর্গে লোকে বহু স্ত্রৈণমেষাম্।।
স্বর্গলোকে অবস্থিত এদের ভোগসাধন শিশ্ন ইন্দ্রিয় জাতবেদা অগ্নি দগ্ধ করে না। অর্থাৎ, নির্বীর্য করে না। সুকৃতফলোপভোগস্থানে এ সুকৃতিদের ভোগের জন্য বহু স্ত্রী আছে।[6]অথর্ববেদ সংহিতা ৪/৭/৪/২ অথবা, ৪/৩৪/২, অনুবাদঃ বিজনবিহারী গোস্বামী, পৃ ১৪৮-১৪৯ https://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.454693/page/n163/mode/1up?view=theater
সায়ণভাষ্য দেখুন,[7]অথর্ব্ববেদ-সংহিতা, (দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত), খণ্ড ২, পৃ ৫০৪, প্রিন্টঃ ১৯২৫, প্রকাশস্থানঃ হাওড়া, প্রকাশকঃ ধীরেন্দ্রনাথ লাহিড়ী
অর্থাৎ, স্বর্গে তারা ভোগের জন্য বহু স্ত্রী পাবে, এবং তাদের বীর্য কখনো শেষ হবে না।
উইটনির অনুবাদঃ
Boneless, purified, cleansed with the purifier, bright (cuci), they go to a bright world; Jatavedas burns not away their virile member; in the heavenly (svarga) worl much women-folk is theirs.[8]Atharva-Veda Samhita, First half, page 206, Tr: WILLIAM DWlGHT WHITNEY, book iv, chapter 34, verse 2
অস্থিহীন, শুদ্ধ, শুদ্ধিকারক দ্বারা শুদ্ধ, উজ্জ্বল (চুসি), তারা একটি উজ্জ্বল জগতে যায়; জাতবেদাস তাদের বীর্য পুরুষাঙ্গ পুড়িয়ে ফেলে না; স্বর্গীয় (স্বর্গ) জগতে অনেক নারী-লোক তাদের জন্য।
গায়ত্রী পরিবারের আচার্য শ্রীরাম শর্মার অনুবাদ,
अग्नि इसके शिश्न (उत्पादक अंग) को नष्ट नहीं करता । स्वर्ग में (इसका तेजस् धारण करने वाली) इसकी बहुत सी स्त्रियाँ (उत्पादक शक्तियाँ | ) हैं ॥
“অগ্নি উসকি শিশ্ন (উৎপাদক অংগ) কো নষ্ট নেহি করতা, স্বর্গমে উসকি বহুতছি স্ত্রী হ্যায়”
অর্থাৎ অগ্নি তাহার শিশ্নকে নষ্ট করে না এবং স্বর্গে তাহার বহু স্ত্রী থাকে।[9]https://cpdarshi.com/2021/04/11/atharvaveda-4-34/ এবং https://jaigishya.wordpress.com/2020/06/01/ब्रह्मोदन-सूक्त-शीर्ष-भा/
এখানে কিছু অ্যাপোলোজিস্ট সমাজীদের দাবি স্বর্গ মানে স্বর্গ না, শিশ্ন মানে হিন্দুদের পুরুষাঙ্গ না, স্ত্রৈণাম মানে বহু স্ত্রী না – ভোগের জন্যেও না। স্বর্গ নিয়ে খোদ হিন্দুদের মধ্যেই ক্যাচাল আছে সেজন্য সেটার আলোচনা এখন অফ রাখি।
শিশ্ন মানে কী?
দাবি করা হয়ে থাকে নিরুক্ত ৪/১৯ অনুযায়ী শিশ্ন মানে নিরুক্ত না। আসুন দেখে নেইঃ
নিরুক্ত ৪/১৯/১৫ – এখানে ঋগ্বেদের ‘শিশ্নদেবা’ কে অব্রহ্মচারী বলা হয়েছে। ব্রহ্মচর্য ব্রতে হিন্দুরা সেক্স থেকে বিরত থাকে। অব্রহ্মচর্যা মানে হচ্ছে সেক্স থেকে বিরত না থাকা, অর্থাৎ শিশ্নের ইউজ না করা। নিচে দুর্গাদাসের ভাষ্য উল্লেখ করা হয়েছে যাতে বোঝা যাচ্ছে যে স্ত্রীর সাথে ‘শিশ্ন’ দিয়ে যে ক্রীড়া করে/খেলে সেই অব্রহ্মচারী। আর আরো কথা হলো নিরুক্তে ঋগ্বেদের প্রসঙ্গ এসেছে, অথর্ববেদের না। অথর্ববেদ একটি নবাগত বেদ যা মাত্র কয়েকশ বছর আগের লেখা। এর আগে অথর্ববেদের কোনো অস্তিত্ব প্রমাণিত নয়।
নিরুক্ত ৪/১৯/১৬ – শিশ্ন শব্দ ‘শ্নথ’ ধাতু থেকে এসেছে। শ্নথ মানে কিন্তু এমন কিছু বোঝায় ‘প্রবেশ করান না করা’, ‘ঢোকন বা ঢোকা’, ‘ছিদ্র করা’ ইত্যাদি। নিঘণ্টু (২/১৯) অনুযায়ী এটা মানে হচ্ছে বধার্থক, যা বধ করা/মেরে ফেলা যায়। স্ত্রীর সাথে সেক্স করার সময় শিশ্ন স্ত্রির দ্বারা তাড়িত হয়/বধ্য হয় (স্কন্দস্বামী ভাষ্য)।
স্পষ্ট হওয়ার জন্য দেখুনঃ[10]হিন্দুদের দেবদেবীঃ উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ, দ্বিতীয় পর্ব, হৎসনারায়ণ ভট্টাচার্য, পৃ ১২২ https://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.457104/page/n149/mode/1up?view=theater
নিরুক্তের ইংরেজি অনুবাদক লক্ষণ স্বরূপও শিশ্ন মানে পুরুষাঙ্গই (Phallus) ধরেছেন,[11]https://archive.org/details/nighantuniruktao00yaskuoft/page/66/mode/1up?view=theater
চন্দ্রমন্দের নিরুক্ত ভাষ্যে লেখা আছে শিশ্ন মানে ‘उपस्थेन्द्रिय’/’উপস্থ ইন্দ্রিয়’ যা জননাঙ্গই বা লিঙ্গই বোঝায়।
ঋগ্বেদ ৭/২১/৫ এ সায়ন ভাষ্যে দেখুন,
Let not the rākṣasas: na vandana vedyabhiḥ = vandanāni, rākṣāṃsi, prajabhyaḥ;the unchaste: śiṣnadevaḥ, abrahmacharya ityarthaḥ (Yaska 4.19); or, may be those who hold the liṅga for adeity.[12]https://www.wisdomlib.org/hinduism/book/rig-veda-english-translation/d/doc834736.html
আসুন সংস্কৃত অভিধান থেকেও দেখাই,
Sanskrit Practical Dictionary:
English-Sanskrit Dictionary:
স্ত্রৈণাম মানে কী?
আর্যসমাজীরা স্ত্রৈণামের অনুবাদ করতে গিয়ে গোলমেলে করে ফেলেছে, একজন লিখেছে স্বর্গে থাকবে বহু স্ত্রী কিন্তু সবাই একটা একটা করে পাবে, আরেকজন লিখেছে এখানে সবাই বহুসংখ্যক স্ত্রীলোক নিয়ে (মা বোন খালা চাচি ইত্যাদি) নিয়ে সুখে বসবাস করবে, যদিও এগুল মূল সংস্কৃতে নেই।
আসুন আগে দেখে নেই আর্যসমাজী অনুবাদক সত্য প্রকাশ সরস্বতী কী লিখেছে,
Bereft of physical bodies, pure, cleansed with the wind, brilliant, they go to a brilliant world. The fire does not cause buring in their male organ. In the world of happiness they get plenty of women.[13]Atharva Veda, Vol II, Satyaprakash Saraswati, Kanda IV, Suktam 34, Mantra 2, page 499 https://archive.org/details/av-kand-4/page/n51/mode/1up?view=theater
আগুন তাদের পুরুষাঙ্গে দাহ সৃষ্টি করে না। সুখের দুনিয়ায় তারা পায় প্রচুর নারী।
যা ফাঁস করার তো সত্যপ্রকাশ সরস্বতীই ফাঁস করে দিলো। আসুন অন্যদের হাস্যকর কিছু অনুবাদ দেখিঃ
আচার্য বৈদ্যনাথ শাস্ত্রীর অনুবাদ,[14]ATHARVA VEDA VOL 1, page 242 https://archive.org/details/ATHARVAVEDAVOL1OF2/page/n243/mode/1up
এখানে তিনি “one for each one as his wife” এই আজগুবী কথাটি ঢুকিয়ে দিয়েছেন মূল সংস্কৃতে এমন কোনো কথা না থাকা সত্ত্বেও। তুলসীরাম শর্মা আবার বহু স্ত্রীকে ফ্যামিলি বানিয়েছে। যা হোক, স্ত্রৈণাম মানে যে মেয়েদের কালেকশন সেটা আরেকটি বেদাঙ্গ ‘অষ্টাধ্যায়ী’ সমর্থিতঃ[15]অষ্টাধ্যায়ী ৪/১/৮৭, অনুবাদঃ রামনাথ শর্মা, The Astadhyayi of Panini, Vol IV, page 85 https://archive.org/download/TheAshtadhyayiOfPanini-RamNathSharma
শীর্ষ চন্দ্র বসুর অনুবাদ,[16]The Aṣṭādhyāyī of Pāṇini, translated by Śrīśa Candra Vāsu and formatted by James Roger Black, Book IV, Chapter 1, page 655 https://archive.org/details/ashtadhyayi/ashtadhyayi4/page/n51/mode/1up
মন্ত্রে ‘বহু’ যুক্ত হওয়ায় সায়ণভাষ্যে বহু মেয়েদের কালেকশন অর্থ নেওয়াটি সঠিক। তাছাড়া এর পক্ষে স্মৃতিশাস্ত্র, পুরাণের অনেক সমর্থন রয়েছে।
বেদের অন্যান্য রেফারেন্স
কৃষ্ণযজুর্বেদে স্বর্গে থাকা কিছু অপ্সরার নাম বলা হচ্ছেঃ[17]কৃষ্ণযজুর্বেদসংহিতা, ৪/৪/৩, বিজনবিহারী গোস্বামী, পৃ ৫৫৯-৫৬০
অথর্ববেদেও গন্ধর্ব-অপ্সরার কথা আছে আছে,[18]অথর্ববেদ সংহিতা, কাণ্ড ১১, অনুবাক ৪, সুক্ত ৩, মন্ত্র ৭, বিজনবিহারী গোস্বামী, পৃ ৩৯৩-৩৯৪ https://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.454693/page/n408/mode/1up?view=theater অথবা, অথর্ববেদ ১১/৭/২৭
এই গন্ধর্বরা হচ্ছে হিন্দুদের স্বর্গে গান গাওয়ার লোক। আরও কিছু রেফারেন্সঃ
- অপ্সরারা হচ্ছে গন্ধর্বদের বউ। তারা স্বামীর সাথে গানের তালে নাচানাচি করে।[19]অথর্ববেদ ২/২/৪-৫
- হিন্দু মহিলারা স্বর্গে গন্ধর্বও পাবে না, গন্ধর্বদের তাদের অপ্সরা স্ত্রী ছাড়া অন্য কিছুতে হাত দিতে পারবে না।[20]অথর্ববেদ ৪/৩৭/১১-১২
- ইন্দ্র অমর করে সকল যৌনবাসনা পূরণ করার ব্যবস্থা করবে।[21]ঋগ্বেদ ৯/১১৩/১১
- অপ্সরারা হচ্ছে দেবতাদের প্রেমিকা।[22]অথর্ববেদ ৬/১১৮/৩
- নারায়নের উরু থেকে উর্বশীর জন্ম।[23]ঋগ্বেদ ৪/২/১৮ সায়ন ভাষ্য
- অপ্সরারা প্রেমিকদের সাথে স্বামীর মতো কাজ করে।[24]ঋগ্বেদ ১০/১২৩/৫
শতপথ ব্রাহ্মণের রেফারেন্স সমূহ
- শতপথ ব্রাহ্মণ ৯/৪/১/৪-১২
- ১০/৫/২/২০
- ১৩/৪/৩/৮
- ১৩/৫/৪/১৩
- ১১/৫/৩/৭
- ১৩/৬/২/৩৪
মহাভারতে অপ্সরা
এবার আমরা মহাভারত থেকে দেখি চলুন কীভাবে ব্রাহ্মণরা হিন্দুদের অপ্সরার লোভ দেখিয়ে নিজেদের স্বার্থে চালিয়েছে।
হাজার হাজার অপ্সরা ছুটে আসবে
মহাভারত শান্তিপর্বে বলা আছে,
Foremost of Apsaras, numbering by thousands, go out with great speed (for receiving the spirit of the slain hero) coveting him for their lord.[25]মহাভারত, শান্তিপর্ব, অধ্যায় ৯৮, অনুবাদঃ কিশোরী মোহন গাঙ্গুলি https://www.sacred-texts.com/hin/m12/m12a097.htm#:~:text=%20foremost%20of%20apsaras
“স্বর্গে হাজারো অপ্সরী তীব্রবেগে ছুটে যাবে, যুদ্ধে নিহত বীরের আত্নাকে আনার জন্য”
কালীপ্রসন্ন সিংহের অনুবাদঃ[26]https://www.ebanglalibrary.com/110596/০৯৮-যুদ্ধমৃত-ক্ষত্রিয়ে/#:~:text=ক্ষাত্ৰধৰ্ম্মানুসারে%20সংগ্রামনিহত%20হইলে-,অপ্সরাসকল,-তাঁহাকে%20পতিত্বে%20বরণ
হাজার কুমারী স্ত্রী
অনুশাসন পর্বে বলা আছে [27]মহাভারত, অনুশাসন পর্ব, অধ্যায় ৮০, অনুবাদঃ কিশোরী মোহন গাঙ্গুলি https://www.sacred-texts.com/hin/m13/m13b044.htm#:~:text=thousand%20celestial%20damsels%20of%20beautiful%20hips এ বলা আছে,
That man who habitually makes gifts of kine comes to be regarded as the foremost of his species. When thus proceeding to Heaven, he is received by a thousand celestial damsels of beautiful hips and adorned with handsome robes and ornaments. These girls wait upon him there and minister to his delight.
গোসম্পদের সেবার মাধ্যমে মানুষ স্বর্গে গমনের পর এক হাজার স্বর্গীয় কন্যা পাবে, যাদের থাকবে আকর্ষনীয় পাছা এবং থাকবে সুন্দর পোষাক ও গহনায় সুসজ্জিত।
কালীপ্রসন্ন সিংহ এভাবে অনুবাদ করেছেন,[28]মহাভারত, অনুশাসনপর্ব, অধ্যায় ৭৯, পৃ ১৯৬
শত অপ্সরার সাথে খেলাধুলা
বনপর্বে [29]মহাভারত, বনপর্ব, অধ্যায় ৪২, অনুবাদঃ কিশোরী মোহন গাঙ্গুলি https://www.sacred-texts.com/hin/m03/m03042.htm#:~:text=sport%20with%20the%20celestials বলা আছে,
O mountain, thou art ever the refuge of holy, heaven-seeking Munis of virtuous conduct and behaviour. It is through thy grace, O mountain, that Brahmanas and Kshatriyas and Vaisyas attain heaven, and their anxieties gone, sport with the celestials
ব্রাহ্মণ – ক্ষত্রিয় – বৈশ্যরা স্বর্গে আসলে তাদের সকল দুশ্চিন্তা চলে যাবে, তারা স্বর্গীয়দের সাথে খেলবে।
অনুশাসন পর্বে বলা আছে,
Such a man ascends to Heaven on a car drawn by swans. Endued with puissance, he enjoys every kind of happiness in heaven for a hundred years. A hundred Apsaras of the most beautiful features wait upon and sport with him.[30]মহাভারত, অনুশাসন পর্ব, অধ্যায় ১০৬, অনুবাদঃ কিশোরী মোহন গাঙ্গুলি https://www.sacred-texts.com/hin/m13/m13b071.htm#:~:text=a%20hundred%20years.-,a%20hundred%20apsaras%20,-of%20the%20most
যারা রোগে শোকে অবিচল, যজ্ঞে আত্ননিয়োগের গুনাবলি অর্জন করে প্রতি পদে , তাহাদের জন্য স্বর্গে শত অপ্সরা অসাধারন গুনাবলির সহিত অপেক্ষারত, তাহাদের সহিত ক্রিড়া করার জন্য।
কালীপ্রসন্ন সিংহের অনুবাদঃ
অপ্সরাদের সাথে সেক্স করা কোনো নিয়মের অধীন নয়, স্বর্গে গিয়ে পুরুষরা নিয়মিতই করে থাকে
এটা আছে বনপর্বে,[31]মহাভারত, বর্নপর্ব(৩), ইন্দ্রলোকে অর্জুন- উর্বশীর অভিসার, পৃষ্ঠা- ১৬৭, পিডিএফ- ১৬২, লেখকঃ কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস, অনুবাদকঃ রাজশেখর বসু , প্রকাশনীঃ এম.সি … See Full Note
স্বর্গে না গিয়েই অপ্সরাদের সাথে হিন্দু রাজা-মুনিদের সেক্স
যজ্ঞ করে মুনি-ঋষিরা অপ্সরাদেরকে ডেকে এনে তাদের সাথে সেক্স করে সন্তান উৎপাদন করতোঃ
রাজারাও নিজের বউয়ের সাথে হাজার বছর একটানা সেক্স করে সুখ না পেয়ে জঙ্গলে অপ্সরাদের কাছে সেক্স করার জন্য যেতো,[32]মহাভারত, আদিপর্ব, অধ্যায় ৭৫, অনুবাদঃ কালীপ্রসন্ন সিংহ
অপ্সরা দেখে ঋষি ভরদ্বাজ ও শরদ্বানের অর্গাজম
আদিপর্বে এসেছে,
ভরদ্বাজই একবার গঙ্গাস্নান করতে গিয়েছিলেন। সেখানে অপ্সরা ঘৃতাচী স্নান করে কাপড় বদল করছিলেন। ভরদ্বাজ তাকে দেখলেন। ঘৃতাচীর শরীরের এক অংশ হতে কাপড় সরে গিয়েছিল। তা দেখে ভরদ্বাজের বীর্য স্খলিত হল। এই বীর্য তিনি এক দ্রোণে (কলসিতে) রাখলেন। সেই দ্রোণ থেকে এক বালক উৎপন্ন হল। দ্রোণ থেকে জন্ম হওয়ায় তার নাম হল দ্রোণ।[33]মহাভারত, আদিপর্ব, ১২৯/৩৩-৩৮
একই অধ্যায়ে আছে, শরদ্বান ঋষি জানপদী নামক অপ্সরাকে যখন বনে একবসনা দেখতে পেয়েছিলেন, তখন তার বীর্যপাত হয়েছিল। সেই বীর্য তীরের উপর পতিত হয়েছিল। তা থেকে কৃপ নামে এক বালকের জন্ম হয়েছিল, যে পরবর্তীকালে পাণ্ডবদের ধনুর্বেদ এর আচার্য হয়েছিল।[34]প্রাগুক্ত ১২৯/৬-২০
তখন ইন্দ্র জানপদী নামক এক অপ্সরাকে পাঠালেন। তাকে বনে একবসনা দেখে শরদ্বান এর চোখ বিস্ফারিত হয়ে গিয়েছিল। তার হাত হতে ধনুর্বাণ পতিত হয়েছিল। শরীর কাঁপতে শুরু করেছিল। তার বীর্য স্খলিত হয়েছিল। সেই বীর্য ধনুর্বাণের উপর পতিত হয়েছিল। তা থেকে দুই শিশুর (একটি ছেলে ও একটি মেয়ের ) জন্ম হয়েছিল। শিকারের জন্য আসা রাজা শান্তনুকে এক লোক সেই শিশুগুলোকে দেখিয়েছিলেন। শান্তনু তাদের নিজের ঘরে নিয়ে এলেন। তিনি যেহেতু তাদের উপর কৃপা করে তাদের পালন করলেন, তাই তাদের নামও সেভাবেই রাখলেন, কৃপ ও কৃপী।
অন্যান্য রেফারেন্স
অপ্সরার কথা এসেছে মহাভারতে ২৫০ বারেরও বেশি, এর খিল অংশ হরিবংশ পুরাণে এসেছে ৬০ বারেরও বেশি। তার মধ্যে অল্প কয়েকটি রেফারেন্স (বিস্তারিত লেখা সম্ভব নয় বলে শুধু রেফারেন্স দেওয়া হলো):
পর্ব | অধ্যায় |
আদিপর্ব | ৮ |
আদিপর্ব | ১৩০ |
আদিপর্ব | ২১৭ |
আদিপর্ব | ৬৮ |
আদিপর্ব | ৯৪ |
আদিপর্ব | ২০৮ |
আদিপর্ব | ১৭৪ |
আদিপর্ব | ৯৭ |
আদিপর্ব | ৬৭ |
সভাপর্ব | ১১ |
বনপর্ব | ২৬৩ |
বনপর্ব | ১৫৮ |
বনপর্ব | ২৮০ |
বনপর্ব | ২৩০ |
বনপর্ব | ৮২ |
বনপর্ব | ১৪৮ |
বনপর্ব | ৪৬ |
উদ্যোগপর্ব | ১০ |
উদ্যোগপর্ব | ১৬ |
উদ্যোগপর্ব | ৪৩ |
ভীষ্মপর্ব | ৬ |
দ্রোণপর্ব | ১৮৯ |
দ্রোণপর্ব | ৮০ |
কর্ণপর্ব | ৬২ |
শল্যপর্ব | ৪৮ |
শান্তিপর্ব | ২৭২ |
শান্তিপর্ব | ২৮১ |
শান্তিপর্ব | ৩২৫ |
শান্তিপর্ব | ৩২৮ |
শান্তিপর্ব | ৩৩৩ |
শান্তিপর্ব | ৯৯ |
অনুশাসনপর্ব | ৩৭ |
অশ্বমেধপর্ব | ৮ |
আশ্রমবাসিক পর্ব | ৩১ |
মৌসলপর্ব | ৪ |
রামায়ণে অপ্সরা
সৈনিকদের সার্ভিসে ব্রহ্মার বিশ হাজার অপ্সরা সাপ্লাই
বাল্মিকী রামায়ণ অযোধ্যাকাণ্ডে এই কাহিনি রয়েছে,[35]বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ৯১, গীতা প্রেস
অন্যান্য রেফারেন্স
আমরা এখানেও বিস্তারিত আলোচনা না করে বাকি কিছু রেফারেন্স তালিকা করে দিয়ে দিচ্ছি। বাল্মিকী রামায়ণে প্রায় ১০০ বারের মতো অপ্সরার কথা এসেছে, তার মধ্যে অল্প কয়েকটি,
কাণ্ড | সর্গ |
বালকাণ্ড (আদিকাণ্ড) | ৪৫ |
বালকাণ্ড (আদিকাণ্ড) | ৭৬ |
অরণ্যকাণ্ড | ১ |
অরণ্যকাণ্ড | ১১ |
অরণ্যকাণ্ড | ৩৫ |
কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড | ২০ |
কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড | ২৪ |
কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড | ৪০ |
কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড | ৪১ |
কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড | ৪৩ |
কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড | ৪৬ |
কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড | ৬৬ |
সুন্দরকাণ্ড | ২০ |
যুদ্ধকাণ্ড | ৪১ |
যুদ্ধকাণ্ড | ৯১ |
যুদ্ধকাণ্ড | ১০৯ |
যুদ্ধকাণ্ড | ১৩০ |
উত্তরকাণ্ড | ৩ |
উত্তরকাণ্ড | ৫ |
উত্তরকাণ্ড | ১০ |
উত্তরকাণ্ড | ২২ |
উত্তরকাণ্ড | ৯১ |
যোগবাশিষ্ঠ রামায়ণ থেকে অল্প কিছু রেফারেন্স,
খণ্ড/প্রকরণ | অধ্যায় |
বৈরাগ্য প্রকরণ | ১ |
উৎপত্তিখণ্ড | ২৭ |
উৎপত্তিখণ্ড | ১০৪ |
উৎপত্তিখণ্ড | ১৬ |
উৎপত্তিখণ্ড | ৪৪ |
স্থিতি প্রকরণ | ৫ |
স্থিতি প্রকরণ | ৬ |
স্থিতি প্রকরণ | ১৯ |
স্থিতি প্রকরণ | ১০ |
উপসম খণ্ড | ৫৮ |
নির্বাণ প্রকরণ ২ | ১২৩ |
নির্বাণ প্রকরণ ২ | ১৩২ |
নির্বাণ প্রকরণ ২ | ১২৪ |
নির্বাণ প্রকরণ ২ | ৬৪ |
নির্বাণ প্রকরণ ২ | ১১৫ |
গৃহ্যসূত্র
গৃহ্যসূত্রেগুলোর যেখানে যেখানে অপ্সরার কথা উল্লেখ আছে,
- আশ্বালায়ন গৃহ্যসূত্র, অধ্যায় ৩/৪/১
- প্রাগুক্ত ৩/৯/১
- শাঙ্খায়ন গৃহ্যসূত্র ৪/৯/৩
- হীরণ্যকেশী গৃহ্যসূত্র ১/৩/১০/৪
- প্রাগুক্ত ১/২/৮/৪-৭
স্মৃতিশাস্ত্রে অপ্সরা
বিভিন্ন স্মৃতিশাস্ত্র যেমন মনুসংহিতা-পরাশরসংহিতায়ও অপ্সরার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
মনুসংহিতা ও অপ্সরার অস্তিত্ব
মনুস্মৃতিতে অপ্সরা সৃষ্টি সম্পর্কে একটি শ্লোকে বলা হয়েছে।[36]মনুসংহিতা ১/৩৭ অন্য জায়গায় তাদের স্বর্গীয় পরিচয় দেওয়া হয়েছে।[37]মনুসংহিতা ১২/৪৭
পরাশরসংহিতা ও সুরাঙ্গনা লাভ
পরাশরসংহিতা থেকেই সরাসরি দেখে নিন,[38]পরাশরসংহিতা ৩/৩৯-৪২
পুরাণ এবং অপ্সরার চরম লেভেল
পুরাণলেখক ব্রাহ্মণরা অপ্সরাদের চরম লেভেলে নিয়ে গেছে। দু’একটা নমুনা দেখি চলুন।
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ এবং অন্যের বউ টিজিং
রাজা নহুষ একবার ইন্দ্রের সুন্দরী বউ শচীদেবীকে দেখে নিজেকে কন্ট্রোল না করতে পেরে অজ্ঞান হয়ে যায়। তারপর তার সাথে সেক্স করার জন্য ফুঁসলাতে থাকে। একপর্যায়ে যা বলে দেয় তাই শুনি চলুনঃ[39]ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, কৃষ্ণজন্মখণ্ড, অধ্যায় ৫৯
অপ্সরাদের মাঝখানে ঘুমানো
হিন্দুরা স্বর্গে গেলে অপ্সরাদের মাঝখানে ঘুমাবে, তারাই হিন্দুদের জাগিয়ে দিবে (শুধু শুধু কী জাগাবে?)[40]নারদ পুরাণ, উত্তরভাগ, ৬৩/১৫৫-১৫৬
ধার্মিকদের পুরস্কার
ধার্মিক হিন্দুরা স্বর্গে যাওয়ার আগেই পাবে অপ্সরা।[41]মার্কণ্ডেয় পুরাণ ১০.৮৩-৯৫
মার্কণ্ডেয় পুরাণের অন্যান্য রেফারেন্স
- অধ্যায় ১
- অধ্যায় ৯৮
- অধ্যায় ৬৪
- অধ্যায় ৬১
- অধ্যায় ২
- অধ্যায় ৬৩
- অধ্যায় ৬
- অধ্যায় ৬৭
৯৮৭ বছর ৬ মাস ৩ দিন ব্যাপি সেক্স
বিষ্ণুপুরাণে বর্ণিত আছে এক ঋষি স্বর্গ থেকে আসা অপ্সরার সাথে একটানা ৯৮৭ বছর ৬ মাস ৩ দিন ব্যপী সেক্স করেছিলো, এরপর তার হুঁশ হয়।[42]বিষ্ণুপুরাণ, প্রথম অংশ, অধ্যায় ১৫), শ্লোক ১-৩৩, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, পৃ ৫৭-৫৮
বিষ্ণুপুরাণের অন্যান্য রেফারেন্স
- অংশ ৪, অধ্যায় ১৯
- অংশ ৩, অধ্যায় ২
গঙ্গা নদীতে আত্মহত্যা করলেই অপ্সরা
এটার উল্লেখ আছে মৎস্যপুরাণে,[43]মৎস্যপুরাণ, ১০৭/৪-৫
পাঁচ অক্ষরের মন্ত্র পড়ে অপ্সরার সাথে খেলাধুলা
এর উল্লেখ আছে শিবপুরাণে,[44]শিবপুরাণ, বিদ্যেশ্বর সংহিতা, অধ্যায় ২৪, শ্লোক ৬৪-৭২ https://www.wisdomlib.org/hinduism/book/shiva-purana-english/d/doc225963.html
অপ্সরাদের সুন্দর কোমর
The excellent sage Nārada asked the beautiful woman, the Apsaras—“O lady of beautiful waist, I have a certain doubt. Please explain it to me.”[45]শিবপুরাণ, উমাসংহিতা, অধ্যায় ২৪, শ্লোক ৬ https://www.wisdomlib.org/hinduism/book/shiva-purana-english/d/doc226584.html
চমৎকার ঋষি নারদ সুন্দরী নারী অপ্সরাদের জিজ্ঞেস করলেন- “হে সুন্দর কোমরের রমণী, আমার একটা সন্দেহ আছে। আমার এটা দয়া করে বুঝিয়ে দাও।”
শিবপুরাণের অন্যান্য রেফারেন্স
- বায়বীয় সংহিতা (২), অধ্যায় ৪০
- বায়বীয় সংহিতা (১), অধ্যায় ২০
- শতারুদ্র-সংহিতা, অধ্যায় ২৩
- রুদ্র-সংহিতা (২): সতী-খণ্ড, অধ্যায় ৪০
- বায়বীয় সংহিতা (১), অধ্যায় ১২
- উমা সংহিতা, অধ্যায় ১
- রুদ্র-সংহিতা (২): সতী-খণ্ড, অধ্যায় ২২
- বায়বীয় সংহিতা (২), অধ্যায় ৩০
- বায়বীয় সংহিতা (২), অধ্যায় ৩১
অপ্সরা কে পাবে তা নিয়ে মারামারি
এর উল্লেখ আছে দেবী ভাগবতমে যে, লড়াই মারামারি করে যে হিন্দু মারা যাবে সে তো দেবাঙ্গনা/অপ্সরা পাবেই, আবার অনেকসময় একটা অপ্সরা নিয়ে দুই হিন্দু মারামারি লাগে,[46]দেবী ভাগবত পুরাণ, স্কন্দ ৩, অধ্যায় ১৫, শ্লোক ১০-১৫, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন
অপ্সরা দেখেই বেদব্যাসের অর্গাজম
একবার বেদব্যাস যজ্ঞের উদ্দেশ্যে আগুন জ্বালানোর জন্য অরণিমন্থন করছিলেন। তখন তিনি ঘৃতাচী নামে এক অপ্সরাকে দেখলেন এবং কামুক হয়ে পড়লেন। তার বীর্যপাত হল। তা কাঠের উপর গিয়ে পড়লো। সেখান থেকে ব্যাসদেবের সমান আকৃতিযুক্ত এক পুত্র উৎপন্ন হল। তার নাম হল শুকদেবঃ
কামস্তু দেহে ব্যাসস্য দর্শনাদেব সংগতঃ, বহুশো গৃহ্যমাণং চ ঘৃতাব্যা মোহিতং মনঃ। মন্থনং কুর্বতস্তস্য মুনেরাগ্নিচিকীর্ষয়া, অরণ্যামেব সহসা তস্য শুক্রমথাপতত্। সোবিচিন্ত্য তথা পাতং মমন্থারণিমেব চ, তস্মাচ্ছুকঃ সমুদ্ভূতো ব্যাস্যাকৃতিমনোহরঃ।
অর্থাৎ, তাকে ( ঘৃতাচী অপ্সরাকে) দেখার সাথে সাথেই ব্যাস কামবশীভূত হয়ে পড়লেন। ঘৃতাচী তার হৃদয় হরণ করেছিলেন। আগুন জ্বালানোর জন্য অরণীমন্থন করছিলেন ব্যাসদেব। তার বীর্য অরণিতে পতিত হল। এর পরোয়া না করে তিনি অরণীমন্থন করতে লাগলেন। তা থেকে ব্যাসের সমান আকৃতি সম্পন্ন শুক নামে এক বালকের জন্ম হল।[47]দেবী ভাগবত পুরাণ ১/১৪/৪-৮
এক গোসলেই অপ্সরা
এর উল্লেখ আছে স্কন্দপুরাণে,[48]স্কন্দপুরাণ, ৩-ব্রহ্মখণ্ড, ১-সেতুমাহাত্ম্য, অধ্যায়-১, শ্লোক ৭৭
স্কন্দপুরাণের অন্যান্য রেফারেন্স
- আবন্ত্যখণ্ড (৫), আবন্তিকসেতুমাহাত্ম্য (১), অধ্যায় ৫৩
- প্রাগুক্ত, অধ্যায় ৪৫
- প্রাগুক্ত, অধ্যায় ৪৭
- প্রাগুক্ত, অধ্যায় ৫১
- প্রাগুক্ত, অধ্যায় ৫২
- প্রাগুক্ত, অধ্যায় ৮
- বিষ্ণুখণ্ড (২), বাসুদেব মাহাত্ম্য (৯), অধ্যায় ১২
- আবন্ত্যখণ্ড (৫), চতুরাশিতী লিঙ্গ মাহাত্ম্য (২), অধ্যায় ৩৮
- প্রাগুক্ত, অধ্যায় ৭১
- বিষ্ণুখণ্ড (২), বেঙ্কাটাচলমাহাথ্য (১), অধ্যায় ৩০
- প্রভাসখণ্ড (৭), দ্বারকামাহাত্ম্য (৪), অধ্যায় ১৭
- ব্রহ্মখণ্ড (৩), সেতুমাহাত্ম্য (১), অধ্যায় ৪৭
- কাশীখণ্ড (৪), পূর্বার্ধ (১), অধ্যায় ৯
- বিষ্ণুখণ্ড (২),পুরুষোত্তম ক্ষেত্র মাহাত্ম্য (২), অধ্যায় ৫
- ব্রহ্মখণ্ড (৩), ধর্মারণ্য খণ্ড (২), অধ্যায় ৪
- মাহেশ্বরখণ্ড (১), কুমারিকা খণ্ড (২), অধ্যায় ৫৫
অপ্সরাকে ধর্ষণ
অপ্সরাদেরকে এতটাই হট বানিয়েছে হিন্দুদের ব্রহ্মা যে একবার কুৎসিত চেহারার যক্ষ আরেকজনের রূপ ধরে গিয়ে ক্রীতস্থলা নামক অপ্সরাকে ধর্ষণ করে সন্তান উৎপাদন করে,[49]ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ ৩/৭/১০১-১১৩ https://www.wisdomlib.org/hinduism/book/the-brahmanda-purana/d/doc362864.html
101-104. Yakṣa loved Kratusthalā, one of the ten Apsaras of the class called Pañcacūḍas. He was desirous of getting her. Pondering over the means thereof, he searched all the celestial gardens viz.—Vaibhrāja Surabhi, Caitraratha, Viśoka, Sumana and Nandana the most excellent grove. His desire and longing having been whetted he searched many beautiful and fascinating spots. Ultimately he saw her in Nanḍana seated amidst the other Apsaras.
In spite of his ponderings and anxious worries for acquiring her, he could not find a proper means for the same. In his form and features he was defiled (ugly), spoilt and corrupt in his activities.
105. He thought thus—“All living beings resent me because I am noxious and hurtful. Hence, how shall I acquire that lady of fascinating limbs?”
106-107. He hit upon a plan. Having found a means, he hastened to put it into practice. He assumed the form of Vasuruci, the Gandharva. Then that Guhyaka (i.e. Yakṣa) seized Kratusthalā from the midst of the Apsaras. Thinking that he was Vasuruci, she heartily and willingly accompanied him.
108-109. Even as he was being watched by the groups of Apsaras he clasped her closely and had sexual intercourse with her for the sake of a son. Although he was being observed (by them) he did not hesitate, because he was eager to obtain the celestial damsel. Thereupon a son was immediately born. He had all the limbs and sense-organs in full-fledged form.
110. He increased in size immediately in height as well as girth. He shone by means of his brilliance. “I am Nābhi(?) and I am a king,” he said and saluted his father.
111. The father said to him in reply, “You are Rajatanābha.” A son is born resembling his mother in forms and features and his father in vigour and strength.
112-113. As soon as the child was born, the Yakṣa assumed his form. Yakṣas and Rākṣasas, even when they are in disguise, resume their original form while asleep, when they are angry, frightened or extremely delighted. Then the Guhyaka smilingly said thus to the Apsaras.
ব্রহ্মাণ্ডপুরাণের আরো ১৫টি জায়গায় অপ্সরাদের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। আমরা কলেবর বেশি হয়ে যাওয়ায় উল্লেখ করছি না।
কৃষ্ণমন্দিরে গেলে ৪৩২০০,০০,০০,০০০ বছর অপ্সরাভোগ
ব্রহ্মপুরাণে বলা আছে কৃষ্ণমন্দিরে গিয়ে কৃষ্ণদর্শন করলে ১০০ কল্প সময়কাল অপ্সরাভোগ করা যাবে।[50]ব্রহ্মপুরাণ, ৫৪/৫১-৫৫ https://www.wisdomlib.org/hinduism/book/brahma-purana-english/d/doc216124.html
51. O brahmins, of what avail is much talk in regard to the greatness of that lord. By devoutly visiting Kṛṣṇa a man obtains salvation which is most difficult to obtain.
52-53. The man will be liberated from sins accumulated in the course of crores of Kalpas. He will be endowed with the greatest glory. He will be endued with good qualities. He will redeem twenty-one generations of his family. He will go to the city of Viṣṇu on a very brilliant aerial chariot flourishingly endowed with all desirable things.
54-55. For a period of hundred Kalpas he will enjoy pleasures pleasant to the mind along with Gaṇḍharvas and Apsaras like the four-armed Viṣṇu.
এখন এই এক কল্প কত বছর সেটা নিয়ে মতভেদ থাকলেও, তা যে কয়েকশো কোটি বছর তা নিয়ে হিন্দুদের মতের অমিল নেই। বেশিরভাগের মতে ১ কল্প ৪.৩২ বিলিয়ন বছর।[51]A dictionary of Hinduism by Johnson, W. J., 1951, page 165 https://archive.org/details/dictionaryofhind0000john/page/164/mode/2up সে হিসাবে ১০০ কল্প মানে ৪৩২ বিলিয়ন বছর। আহা কৃষ্ণের কী লীলা! বেঁচে থাকতে সে করে গেছে, আর মরে গিয়ে ভক্তদেরও সান্ত্বনা দিচ্ছে।
ব্রহ্মপুরাণের আরো কমবেশি ২০টা জায়গায় অপ্সরার কথা এসেছে।
ব্রাহ্মণকে দাসী দিলে অপ্সরা পাওয়া যাবে
এটার উল্লেখ আছে অগ্নিপুরাণে,[52]অগ্নিপুরাণ ২১১/৩৯-৪০
ব্রাহ্মণরা যে প্র্যাক্টিক্যাল ছিলো তার প্রমাণ এখানে পাওয়া যাচ্ছে, তারা জানতো তাদের ধান্দাবাজি সম্পর্কে। অন্য বর্ণের হিন্দুদের অপ্সরার লোভ দেখিয়ে নিজেরা ফায়দা লুটতো।
মন্ত্রজপে অপ্সরালোকে আবারও
এটাও অগ্নিপুরাণেই লেখা আছে,[53]অগ্নিপুরাণ ২৯২/১৩
অগ্নিপুরাণের অন্যান্য রেফারেন্স
- অগ্নিপুরাণ ১২০/৩১-৩২
- অগ্নিপুরাণ ৩৬০/২-১০
অপ্সরারা স্বর্গের বেশ্যা
অপ্সরারা মূলত বেশ্যা, যেমনটা বর্ণনা করেছে তিনটি পুরাণ। দেবী ভাগবত পুরাণঃ[54]দেবী ভাগবত ৯/১/১৪২-১৪৩, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, নবভারত পাবলিশার্স
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ,[55]ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, প্রকৃতিখণ্ড, অধ্যায় ১, শ্লোক ১৪৫-১৪৯, নবভারত পাবলিশার্স
স্বর্গীয় বেশ্যা (অপ্সরা)-রা দেবগনের ভোগ্যা,[56]ব্রহ্ম বৈবর্ত পুরাণ, কৃষ্ণ জন্ম খণ্ড, ৩২/৫৫
পুরাণের অন্যান্য রেফারেন্স
শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণঃ
- ১২/১১/২৭-৪৪
- ১২/৮/২৬-২৭
- ৪/১৮/১৭
- ৪/৩০/১৩-১৪
- ৫/২/৩-৭
- ৬/৪/১৬
- ৭/৮/৩৭-৩৯
- ৯/২০/৪-৫
- ৯/২৪/৪৩
- ৮/২/৫
- ১১/৩১/৫১
- ১০/৪/১১
- ১২/৪/১৫
- ৪/১৯/৪
- ২/৬/১২
ইত্যাদি।
হিন্দু ছেলেরা স্বর্গে অপ্সরা পাবে, হিন্দু মেয়েরা পাবে বানর (সার্কাজম)
হাজার হাজার অপ্সরা বনাম হুর
অনলাইনে হিন্দুদের অনেক অপপ্রচার শোনা যায় মুসলিমদের হুর নিয়ে। তারা ৭২ হুর ৭২ হুর বলে চিৎকার করে থাকে। অথচ, তারা হলেন জান্নাতবাসীদের স্ত্রী, পবিত্র স্ত্রী, যাদের কেউ কখনো স্পর্শ করে নি, এবং আল্লাহ তা’আলা নিজেই বিয়ে দেবেন।[57]কুরআন ৫৫:৫৬, বুখারী ইফাঃ ২৬০৩ সহিহ বর্ণনায় শহীদদের জন্য জান্নাতী ৭২জন স্ত্রীর কথা এসেছে।[58]তিরমিজি ১৬৬৯ সাধারণ জান্নাতীকে সর্বনিম্ন দু’জন হুর স্ত্রীর সাথে বিবাহ দেওয়া হবে।[59]সহিহ মুসলিম, হাদিস একাডেমী ৩৫২
আরো জানতে দেখুনঃ
এটাও দেখুন,
মিথ্যাবাদী রাধেশ্যাম ব্রহ্মচারীর বই “অন্তিম গতিঃ আল্লার পতিতালয়”
আপনারা সবাই জানেন যে ধর্ম প্রচারের স্বার্থে এবং ব্রাহ্মণদের ধান্ধা বাঁচানোর স্বার্থে মিথ্যা কথা বলে বেড়ানো হিন্দুধর্মে বৈধ। তেমনই কাজের কাজ করেছে মিথ্যাবাদী রাধেশ্যাম ব্রহ্মচারী, তার একটি কৌতুকের বই বেড়িয়েছে বেশ কয়েক বছর হলো।
তার কাছে মুসলিমদের স্ত্রী মানে পতিতা আর হিন্দুদের পতিতা মানে স্বর্গীয় দেবী। সে তার বই ই শুরু করেছে মিথ্যাচার দিয়ে।
দাবি ১ – কোনো মহিলাই নাকি বেহেস্তে যাবে না।
খণ্ডন- সে খুব সম্ভব হিন্দুধর্মগ্রন্থ থেকেই পেয়েছে যে হিন্দু নারীরা স্বর্গে যাবে না, গিয়ে তাদের কোনো লাভ হবে? যখন হিন্দু পুরুষরা তাদের সময় দেবে না?
যা হোক, মুসলিম নারীরা জান্নাতবাসীগণ হবেন অবশ্যই। নারীদের নেত্রী হবেন ফাতিমা (রাদ্বিঃ)।[60]https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=86114
দাবি ২ – কোনো মুসলিমই জাহান্নামে যাবে না।
খণ্ডন – এটা আসলে ব্রাহ্মণদের জন্য প্রযোজ্য। কোনো ব্রাহ্মণ কি নরকে যাবে?
জাহান্নাম উদ্বোধন করা হবে নামধারী মুসলিমদের মাধ্যমে।[61]সহিহুল মুসলিম ১৯০৫, তিরমিজি ২৩৮২ কিন্তু যাদের এক টুকরা ঈমানও আছে তারা জাহান্নামে চিরস্থায়ী হবে না।
দাবি ৩ – জীবনে একবার কালিমা পড়লেই খুন, জখম, রাহাজানি, বলাৎকার মাফ!
খণ্ডন – কালিমা কী সে তাও জানে না, যা হোক খুব সম্ভব সে তাওবার কথা বলছে। তাওবার মানে হলো অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাওয়া। কোনো হিন্দু যদি সারাজীবন কুফরি করে, অপরাধ করে বেড়ায়। পরে যদি ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষয়া চায় তাহলে আল্লাহ তা’আলা কেন ক্ষমা করবেন না? তবে তাওবাহর কারণে দুনিয়াবি শাস্তি মাফ হয় না। পড়ুনঃ
দাবি ৪ – আল্লা মুসলিমদের লোভ দেখিয়েছেন স্বর্গের বা বেহেস্তের।
খণ্ডন – যারা ঈমান আনার তারা এমনিতেই আনবে। আর যারা আনার না তাদের যতোই সতর্ক করা হোক না কেন, তাদের কাছে উভয়েই সমান।[62]কুরআন ২:৬ আল্লাহ্ বানানটাও যার ভুল হয় সে এহেন হাস্যকর দাবি কীভাবে করতে পারে? আল্লাহ তা’আলা কখনো মিথ্যা আশ্বাস দেন না।
এহেন মূর্খের পুরো বইটিই হাস্যকর কথাবার্তায় ভরা। যেমন পৃষ্ঠা ৪ এ সে লিখেছে,
তাকে খুব সম্ভব তার ঈশ্বর এসে জানিয়ে গিয়েছিলো যে ঋগ্বেদ মানুষের লেখা সবচেয়ে প্রাচীনতম গ্রন্থ যেখানে ঋগ্বেদের কোনো কপিই নেই ৬০০ বছর আগের। আমরা আগে চ্যালেঞ্জ করেছি এ বিষয়ে এখানেঃ
তারপর তাকে স্বীকার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ, হিন্দুধর্মের উদ্ভব হয়েছে মূর্খ চাষাভূষা শুদ্রদের শোষণ করা ব্রাহ্মণদের হাতে। তবে ইসলামের কখনো আবির্ভাব হয় নি। মুহাম্মদ (সাঃ) ইসলামের শেষ নবী এবং রাসূল মাত্র। পূর্বে ইসলামের অগণিত নবী-রাসূল এসেছেন। পড়ুনঃ
তবে তার কথায় একটু জিনিস যুক্ত করে দেই, মুহাম্মদ (সাঃ) এসেছেন এমন সময়ে যেসময় আরব এবং বাকি বিশ্ব পৌত্তলিকতা সহ নানা অপরাধে যুক্ত ছিলো। এগুলোকে আবার সংশোধন করে ইসলামে ফিরিয়ে আনতেই রাসূল (সাঃ) এর আগমন। ঋষিদের শিক্ষা আমরা এই পোস্টেই দেখেছি।
যা হোক, সামনে বাড়াই কথা। প্রতিটি পৃষ্ঠায় এই হিন্দু তার স্বভাবগত মিথ্যাচারের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। যেমন ধরুন পৃ ৯।
প্রতিটা পৃষ্ঠা ধরে ধরে খণ্ডন করার দরকার নেই। আশা করি পাঠক বুঝতে পেরেছেন সে আর কী কী লেখা লিখতে পারে। তার বইয়ের মূল বিষয় ছিলো মুলত জান্নাতে মুসলিমদের স্ত্রীগণ। তার মতে জান্নাতে মুসলিমদের স্ত্রীরা হচ্ছে পতিতা, যদিও তাদের কেউ কখনো স্পর্শ করে নি, তারা হবে মুসলিমদের বৈধ স্ত্রী, তারা একে অন্যকে দেখবে না, তবুও তারা পতিতা। (কিন্তু হিন্দুদের স্বর্গের পাবলিক পতিতা অপ্সরারা হিন্দুদের পরম আরাধ্য)। সে তার বইয়ে বিভিন্ন জাল কথাবার্তারও বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছে। যেমনঃ
এরকম কথাবার্তা মুসলিমরা জানে না, জানে হিন্দু রাম স্বরূপ আর রাধেশ্যাম। তারপর সে দাবি করেছে জান্নাতে নাকি সমকাম থাকবে!
কাফেরদের এসব অপপ্রচার আমরা খণ্ডন করেছি আগেইঃ
যা হোক, কেউ যদি চ্যালেঞ্জ করেন তাহলে আমরা তার এই কৌতুকের বইয়ের লাইন বাই লাইন রেফ্যুটেশন দিতে পারি। এক কথায় চলুন দেখে নেই অপ্সরা বনাম হুর সাইড বাই সাইড কম্পেয়ারিজন।
অপ্সরা বনাম হুর সাইড বাই সাইড
হুর | অপ্সরা |
তারা হলেন মুসলিম পুরুষদের স্ত্রী, আল্লাহ তা’আলা নিজে বিয়ে দিয়ে দেবেন। | তারা হিন্দু পুরুষদের স্ত্রী নয়, গন্ধর্বদের স্ত্রী, তবে স্ত্রী হতেও পারে, কাড়াকাড়িতে যে জিতে। |
কেউই তাদেরকে স্পর্শ করে নি কখনো | তারা স্বর্গীয় বেশ্যা, দেবতা-মুনি-ঋষি-রাজারা নিয়মিতই তাদের সার্ভিস নিয়ে থাকে |
তারা শুধু স্বামীর জন্যেই। অন্যের স্ত্রীদের কাছে যাওয়া যাবে না।[63]https://response-to-anti-islam.com/show/জান্নাতে-নারীরা-কেমন-থাকবে–/155#:~:text=প্রত্যেক%20অধিবাসীর%20জন্য-,অন্যের%20স্ত্রীদের,-কাছে%20ঘেঁষাও%20নিষিদ্ধ | তারা পাবলিক, একজনের সাথেই বহুজন সেক্স করে। অন্যের স্ত্রীর সাথেও স্বর্গে সহবাস করা যাবে। |
ইসলামী আইনানুযায়ী একসাথে মাত্র একজন স্ত্রী। | হিন্দু পুরুষরা অপ্সরাদের মধ্যে শুয়ে থাকবে। তাহলে থ্রিসাম, পলিসামের মতো জঘন্য জিনিস তো করবেই। |
হুর স্ত্রীগণ শুধু জান্নাতের জন্যেই | অপ্সরাদের পৃথিবীতে এনে সেক্স করতো রাজা-ঋষিরা। |
হুর স্ত্রীগণ পবিত্র, জান্নাতে সৃষ্ট | অপ্সরারা আগের জন্মে অন্যায় অপরাধ করার কারণে অপ্সরা হয়ে জন্মায় |
আরো পড়ুনঃ
Footnotes
⇧1 | নিরুক্তম্, অধ্যায় ৫, পরিচ্ছেদ ১৩-১৪, অমরেশ্বর ঠাকুর https://www.frommuslims.com/নিরুক্ত-pdf/ |
---|---|
⇧2 | http://gretil.sub.uni-goettingen.de/gretil/1_sanskr/1_veda/1_sam/maitrs_pu.htm#:~:text=yad%20gr%C4%81me%20yad,sarvasy%C4%81%E1%B9%83haso%20’vayajanam%20asi%20%2F%2F |
⇧3, ⇧5 | https://www.wisdomlib.org/hinduism/book/rig-veda-english-translation/d/doc834855.html |
⇧4 | https://www.sacred-texts.com/hin/rigveda/rv07033.htm |
⇧6 | অথর্ববেদ সংহিতা ৪/৭/৪/২ অথবা, ৪/৩৪/২, অনুবাদঃ বিজনবিহারী গোস্বামী, পৃ ১৪৮-১৪৯ https://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.454693/page/n163/mode/1up?view=theater |
⇧7 | অথর্ব্ববেদ-সংহিতা, (দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত), খণ্ড ২, পৃ ৫০৪, প্রিন্টঃ ১৯২৫, প্রকাশস্থানঃ হাওড়া, প্রকাশকঃ ধীরেন্দ্রনাথ লাহিড়ী |
⇧8 | Atharva-Veda Samhita, First half, page 206, Tr: WILLIAM DWlGHT WHITNEY, book iv, chapter 34, verse 2 |
⇧9 | https://cpdarshi.com/2021/04/11/atharvaveda-4-34/ এবং https://jaigishya.wordpress.com/2020/06/01/ब्रह्मोदन-सूक्त-शीर्ष-भा/ |
⇧10 | হিন্দুদের দেবদেবীঃ উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ, দ্বিতীয় পর্ব, হৎসনারায়ণ ভট্টাচার্য, পৃ ১২২ https://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.457104/page/n149/mode/1up?view=theater |
⇧11 | https://archive.org/details/nighantuniruktao00yaskuoft/page/66/mode/1up?view=theater |
⇧12 | https://www.wisdomlib.org/hinduism/book/rig-veda-english-translation/d/doc834736.html |
⇧13 | Atharva Veda, Vol II, Satyaprakash Saraswati, Kanda IV, Suktam 34, Mantra 2, page 499 https://archive.org/details/av-kand-4/page/n51/mode/1up?view=theater |
⇧14 | ATHARVA VEDA VOL 1, page 242 https://archive.org/details/ATHARVAVEDAVOL1OF2/page/n243/mode/1up |
⇧15 | অষ্টাধ্যায়ী ৪/১/৮৭, অনুবাদঃ রামনাথ শর্মা, The Astadhyayi of Panini, Vol IV, page 85 https://archive.org/download/TheAshtadhyayiOfPanini-RamNathSharma |
⇧16 | The Aṣṭādhyāyī of Pāṇini, translated by Śrīśa Candra Vāsu and formatted by James Roger Black, Book IV, Chapter 1, page 655 https://archive.org/details/ashtadhyayi/ashtadhyayi4/page/n51/mode/1up |
⇧17 | কৃষ্ণযজুর্বেদসংহিতা, ৪/৪/৩, বিজনবিহারী গোস্বামী, পৃ ৫৫৯-৫৬০ |
⇧18 | অথর্ববেদ সংহিতা, কাণ্ড ১১, অনুবাক ৪, সুক্ত ৩, মন্ত্র ৭, বিজনবিহারী গোস্বামী, পৃ ৩৯৩-৩৯৪ https://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.454693/page/n408/mode/1up?view=theater অথবা, অথর্ববেদ ১১/৭/২৭ |
⇧19 | অথর্ববেদ ২/২/৪-৫ |
⇧20 | অথর্ববেদ ৪/৩৭/১১-১২ |
⇧21 | ঋগ্বেদ ৯/১১৩/১১ |
⇧22 | অথর্ববেদ ৬/১১৮/৩ |
⇧23 | ঋগ্বেদ ৪/২/১৮ সায়ন ভাষ্য |
⇧24 | ঋগ্বেদ ১০/১২৩/৫ |
⇧25 | মহাভারত, শান্তিপর্ব, অধ্যায় ৯৮, অনুবাদঃ কিশোরী মোহন গাঙ্গুলি https://www.sacred-texts.com/hin/m12/m12a097.htm#:~:text=%20foremost%20of%20apsaras |
⇧26 | https://www.ebanglalibrary.com/110596/০৯৮-যুদ্ধমৃত-ক্ষত্রিয়ে/#:~:text=ক্ষাত্ৰধৰ্ম্মানুসারে%20সংগ্রামনিহত%20হইলে-,অপ্সরাসকল,-তাঁহাকে%20পতিত্বে%20বরণ |
⇧27 | মহাভারত, অনুশাসন পর্ব, অধ্যায় ৮০, অনুবাদঃ কিশোরী মোহন গাঙ্গুলি https://www.sacred-texts.com/hin/m13/m13b044.htm#:~:text=thousand%20celestial%20damsels%20of%20beautiful%20hips |
⇧28 | মহাভারত, অনুশাসনপর্ব, অধ্যায় ৭৯, পৃ ১৯৬ |
⇧29 | মহাভারত, বনপর্ব, অধ্যায় ৪২, অনুবাদঃ কিশোরী মোহন গাঙ্গুলি https://www.sacred-texts.com/hin/m03/m03042.htm#:~:text=sport%20with%20the%20celestials |
⇧30 | মহাভারত, অনুশাসন পর্ব, অধ্যায় ১০৬, অনুবাদঃ কিশোরী মোহন গাঙ্গুলি https://www.sacred-texts.com/hin/m13/m13b071.htm#:~:text=a%20hundred%20years.-,a%20hundred%20apsaras%20,-of%20the%20most |
⇧31 | মহাভারত, বর্নপর্ব(৩), ইন্দ্রলোকে অর্জুন- উর্বশীর অভিসার, পৃষ্ঠা- ১৬৭, পিডিএফ- ১৬২, লেখকঃ কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস, অনুবাদকঃ রাজশেখর বসু , প্রকাশনীঃ এম.সি সরকার এ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিঃ, প্রকাশকঃ শমিত সরকার |
⇧32 | মহাভারত, আদিপর্ব, অধ্যায় ৭৫, অনুবাদঃ কালীপ্রসন্ন সিংহ |
⇧33 | মহাভারত, আদিপর্ব, ১২৯/৩৩-৩৮ |
⇧34 | প্রাগুক্ত ১২৯/৬-২০ |
⇧35 | বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ৯১, গীতা প্রেস |
⇧36 | মনুসংহিতা ১/৩৭ |
⇧37 | মনুসংহিতা ১২/৪৭ |
⇧38 | পরাশরসংহিতা ৩/৩৯-৪২ |
⇧39 | ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, কৃষ্ণজন্মখণ্ড, অধ্যায় ৫৯ |
⇧40 | নারদ পুরাণ, উত্তরভাগ, ৬৩/১৫৫-১৫৬ |
⇧41 | মার্কণ্ডেয় পুরাণ ১০.৮৩-৯৫ |
⇧42 | বিষ্ণুপুরাণ, প্রথম অংশ, অধ্যায় ১৫), শ্লোক ১-৩৩, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, পৃ ৫৭-৫৮ |
⇧43 | মৎস্যপুরাণ, ১০৭/৪-৫ |
⇧44 | শিবপুরাণ, বিদ্যেশ্বর সংহিতা, অধ্যায় ২৪, শ্লোক ৬৪-৭২ https://www.wisdomlib.org/hinduism/book/shiva-purana-english/d/doc225963.html |
⇧45 | শিবপুরাণ, উমাসংহিতা, অধ্যায় ২৪, শ্লোক ৬ https://www.wisdomlib.org/hinduism/book/shiva-purana-english/d/doc226584.html |
⇧46 | দেবী ভাগবত পুরাণ, স্কন্দ ৩, অধ্যায় ১৫, শ্লোক ১০-১৫, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন |
⇧47 | দেবী ভাগবত পুরাণ ১/১৪/৪-৮ |
⇧48 | স্কন্দপুরাণ, ৩-ব্রহ্মখণ্ড, ১-সেতুমাহাত্ম্য, অধ্যায়-১, শ্লোক ৭৭ |
⇧49 | ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ ৩/৭/১০১-১১৩ https://www.wisdomlib.org/hinduism/book/the-brahmanda-purana/d/doc362864.html |
⇧50 | ব্রহ্মপুরাণ, ৫৪/৫১-৫৫ https://www.wisdomlib.org/hinduism/book/brahma-purana-english/d/doc216124.html |
⇧51 | A dictionary of Hinduism by Johnson, W. J., 1951, page 165 https://archive.org/details/dictionaryofhind0000john/page/164/mode/2up |
⇧52 | অগ্নিপুরাণ ২১১/৩৯-৪০ |
⇧53 | অগ্নিপুরাণ ২৯২/১৩ |
⇧54 | দেবী ভাগবত ৯/১/১৪২-১৪৩, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, নবভারত পাবলিশার্স |
⇧55 | ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, প্রকৃতিখণ্ড, অধ্যায় ১, শ্লোক ১৪৫-১৪৯, নবভারত পাবলিশার্স |
⇧56 | ব্রহ্ম বৈবর্ত পুরাণ, কৃষ্ণ জন্ম খণ্ড, ৩২/৫৫ |
⇧57 | কুরআন ৫৫:৫৬, বুখারী ইফাঃ ২৬০৩ |
⇧58 | তিরমিজি ১৬৬৯ |
⇧59 | সহিহ মুসলিম, হাদিস একাডেমী ৩৫২ |
⇧60 | https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=86114 |
⇧61 | সহিহুল মুসলিম ১৯০৫, তিরমিজি ২৩৮২ |
⇧62 | কুরআন ২:৬ |
⇧63 | https://response-to-anti-islam.com/show/জান্নাতে-নারীরা-কেমন-থাকবে–/155#:~:text=প্রত্যেক%20অধিবাসীর%20জন্য-,অন্যের%20স্ত্রীদের,-কাছে%20ঘেঁষাও%20নিষিদ্ধ |
আহা বেচারা পাজিত,স্বগ্গেও জুটলো কি পতিতা
বেচারা পাজিত,কথিত সর্গে গিয়েও কিনা জুটলো পতিতা,গে শ্রীরাম
সোনাটনিরা আমাদের ধর্মে বলা হুর নিয়ে অভিযোগ করে, অথচ আমাদের ধর্মে বলা হুর যার যার ব্যাক্তিগত, এক জনের হুর অন্যজন নিতে পারে না।
অথচ তাদের ধর্মে বলা অপ্সরাতো দেখি পুরাই পতিতা টাইপের, কারন তারা সেখানেও যেমন যার তার সাথে চলে যায়, তেমনই স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে এসে পন্ডিতদের সাথেও শুরু হয়ে যায়!